গাজীপুর সিটির মেয়র পদে যারা দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিমুদ্দিন বুদ্দিন, আব্দুর রব নয়ন, মো. ওয়াজেদুল মিয়া, সুমন সরকার শান্ত বাবু। অন্যদিকে খুলনা সিটির জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আনিসুর রহমান ও এনায়েত হোসেন।
দুই সিটির মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন দিতে রোববার বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড। সন্ধা ৭ টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। মোট ১৯ জন সদস্য রয়েছেন এই বোর্ডে।
জানা গেছে, খুলনা মিটির মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেককে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে এখনও আশাবাদী দলটির শীর্ষ নেতারা। প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যে হুকুম দেবেন তাই আমি পালন করব। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, শুক্রবার রাতেই শেখ হাসিনার নির্দেশনা পেতে পারেন তালুকদার খালেক। আর এই নির্দেশনা অনুসারে আজ শনিবার তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারেন।
তবে গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ২০১৩ সালের মত জটিলতা দেখা দিয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা আজমতউল্লাহ খান ও জাহাঙ্গীর আলম কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। ২০১৩ সালের এই সিটির প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দুই নেতাকে নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। নির্বাচনের আগে আজমতউল্লাহকে সমর্থন দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। কিন্তু নির্বাচনে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন আজমতউল্লাহ। ২০১৩ সালে মেয়র পদে দুই নেতার লড়াই দেখা গেলেও এবার শক্ত প্রার্থী ৩ জন। গাজীপুর সদর আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।