যৌনতার বিনিময়ে ত্রাণ অপকর্মের সত্যতা স্বীকার ওয়ার্ল্ড ভিশনের
নিউজ ডেস্ক : ভূমিকম্পে সর্বস্ব হারানো হাইতির মানুষের জন্য ‘শয্যসঙ্গী হওয়ার বিনিময়ে ত্রাণ’ কর্মসূচি চালানো হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পিছনে ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। ২০১০ সালের ভয়ংকর সেই ভূমিকম্পের সময়ের এমন কেলেঙ্কারি ফাঁস করে দিয়েছেন সংস্থাটিরই একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা।
২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর হাইতিতে ওয়ার্ল্ড ভিশন ত্রাণসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে দূর্যোগগ্রস্তদের পূনর্বাসনে কাজ করে আসছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ভিশনের এক প্রাক্তন এক কর্মকর্তা জানান, হাইতিতে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা ত্রাণ এবং অন্যান্য সহায়তার বদলে দূর্যোগ আক্রান্তদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন। অনেক কর্মী টাকার বিনিময়েও অসহায় মহিলাদের তাদের শয্যসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন।
২০১৭ পর্যন্ত এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডর ছিলেন বৃটিশ রাজপুত্র হ্যারির বাগদত্তা হলিউড তারকা মেগান মার্কেল। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যৌনতার অভিযোগ ওঠায় অন্যান্যদের মত তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তাতে বিতর্ক থেমে নেই। প্রশ্ন উঠেছে ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হয়েও মেগান কি জানতেন না এসব অপকর্মের কথা?
ওয়ার্ল্ড ভিশন গত বছর ব্রিটিশ সরকারের থেকে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড সাহায্য পেয়েছে। এই কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসায় ব্রিটিশি সরকারের তরফ থেকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হচ্ছে। ব্রিটিশ এমপিরা গত শনিবার এই ঘটনার সমালোচনা করে তদন্তের আহবান জানিয়েছেন।
বৃটিশ সাংসদ নাইজেল এভানস বলেছেন, ‘এটা অবাক করা বিষয়। অসহায় মানুষদের সঙ্গে কী করে একজন এমন আচরণ করতে পারে।’
অবশেষে ওয়ার্ল্ড ভিশন গতকাল শনিবার, ১৭ মার্চ ২০১৮ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে তারা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।