মাঠ ছেড়েছিলেন গাভাস্কার-রানাতুঙ্গা-ইনজামাম
স্পোর্টস ডেস্ক : নিদাহাস কাপে শুক্রবার বাংলাদেশ-শ্রীলংকা ম্যাচে লংকান বোলার ইসুর উদানা পরপর দুটি বাউন্সার মারলেও ‘নো’ বল ডাকেননি মূল আম্পায়ার। এমনকি সাড়া দেননি লেগ আম্পায়ারের ‘নো’ বল সিগনালেও। এ সময় সাকিব ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের মাঠ ছেড়ে আসার ইঙ্গিত দেন। এ নিয়ে সাকিবের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন গাভাস্কার। অথচ তিনিই অধিনায়ক হয়ে সতীর্থকে মাঠ ছেড়ে আসার তাগাদা দেন। তাও আবার সেটা জয়-পরাজয়ের কোন ম্যাচে নয়। এছাড়া ইনজামাম-রানাতুঙ্গারাও অনেক আগেই ঘনিয়েছেন এমন ঘটনা। ।
ভারত অধিনায়ক, গাভাস্কার, ১৯৮১
কলম্বোর ঘটনাবহুল ম্যাচ শেষে সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের উপস্থাপনায় আলোচনায় ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানের সঙ্গে যোগ দিয়ে গাভাস্কার বলেন, ‘যা হয়েছে ভালো হয়নি। আইসিসিকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হতে হবে। সাকিব আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন।’ কিন্তু ১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনিও এমন একটি ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। মেলবোর্নে গাভাস্কার এলবিডব্লিউ আউটের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গইে না সূচক মাথা নেড়ে তিনি তো সাজঘরের পথ ধরেন অপর ব্যাটসম্যান চেতন চৌহানকেও প্যাভিলিয়নের পথ ধরার ইঙ্গতি করেন। এমনিক চৌহার ইতস্তত করলে গাভাস্কার তাকে ডেকে নিয়ে নিয়ে যান। যদিও চৌহান শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েননি।অথচ গাভাস্কার তুললেন সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা!
শ্রীলংকা অধিনায়ক, রানাতুঙ্গা, ১৯৯৯
১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে ত্রিদিশেীয় সিরিজে ইংল্যান্ড-শ্রীলংকা ম্যাচ। বোলিংয়ে থাকা শ্রীলংকার মুরালিধরনের বলে ‘নো’ ডাকেন লেগ আম্পায়ার রস এমারসন। রানাতুঙ্গা জানতে চাইলেন নো বল কেন। আম্পায়ারের দাবি মুরালিধরণ চাকিং বল করছেন। অধিনায়ক রানাতুঙ্গা পুরো দল নিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন। পরে বোর্ডের হস্তক্ষেপে খেলতে রাজি হন রানাতুঙ্গা। এমনকি ম্যাচের পরে রানাতুঙ্গা বলেন, তিনি সঠিক কাজই করেছিলেন।
পাকিস্তান অধিনায়ক, ইনজামাম উল হক, ২০০৬
পাকিস্তান টেস্টে দলের অধিনায়ক ইনজামাম উল হক দল নিয়ে চা বিরতিতে গেছেন ফেরার আর নাম নেই। পরে জানা গেল, বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে পাঁচ রান জরিমানা করা এবং বল পাল্টানোর পরে অধিনায়ককে কিছু না জানানোর প্রতিবাদে মাঠে নামবে না পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্তের জন্য আম্পায়ারকে খেসারত দিতে হয়েছিল। পাকিস্তান দলের কিছু হয়নি। দেড় ঘণ্টা পরে ম্যাচ খেলতে চাইলেও আম্পায়াররা মাঠে নামতে চাননি আর। পরে তদন্ত করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়। আর আম্পিয়ার ড্যারেন হেয়ারকে ম্যাচ পরিচালনা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।