বাংলাদেশের জয়ের সামনে যারা বাধা হয়ে থাকবে
নিদাহাস ট্রফির শ্বাসরুদ্ধ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে করে স্বপ্নের ফাইনালে বাংলাদেশ। দীর্ঘ দুই বছর আবার একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পরাজয়ের ক্ষত এখনো শুকায়নি। এবার ক্ষত শুকানোর মোক্ষম সুযোগ পেয়েছে টাইগাররা।
সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা মনে করেন, শিরোপা জয়ের সূবর্ণ সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে সেটা সম্ভবের কিভাবে? সে জন্য বাতলে দিয়েছেন মূলমন্ত্র। পুরো ভারতীয় টিমের চারজনের ওপর থাকতে হবে মূল ফোকাস। তাহলেই হাতে উঠবে স্বপ্নের ট্রফি।
মূলমন্ত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, হিসাব কষে মাঠে নামলে এবং আবেগ সরিয়ে মাঠের খেলায় মনোযোগী হলে জয় পাওয়া যাবে সহজেই। তার ভাষ্য, আমার কাছে মনে হয়, রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান- এই দুইটা উইকেট যদি আমরা দ্রুত নিতে পারি তাহলে ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকবে। একই সঙ্গে চাহাল ও ওয়াশিংটনকে ঠিকভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে। এই চারজন খেলোয়াড় নিয়ে পরিকল্পনা করলে আমাদের দিকে ম্যাচটা আসতে পারে।
শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ের নায়ক মাহমুদুল্লাহকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘চার বলে যখন ১২ লাগবে, তখন রিয়াদ প্রথম চারটা মারল। তখন মনে হয়েছে সম্ভব। তার আগে নো বলটা আমাদের পক্ষে আসতে পারত। তারপর রিয়াদ যেভাবে খেলেছে অসাধারণ। ১৮ বলে ৪৩। প্রথম থেকে এসেই যেভাবে আক্রমণ করেছে, ওটা ছিল দারুণ। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আসলে এরকম একজনকে খেলতে হয়। প্রতিদিন রিয়াদ খেলবে না, কাউকে না কাউকে খেলতে হবে।’
মাশরাফির মতে, নিদাহাস ট্রফির দুই জয় বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের সেরা দুই জয়। এজন্য পুরো দলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। পাশাপাশি তামিমের ব্যাটিংকে মার্ক করেছেন আলাদা করে, ‘বাংলাদেশের সেরা দুই টি-টোয়েন্টি যদি হিসাব করা হয়, তাহলে এই নিদহাস ট্রফিতেই দুইটা হবে। মুশফিক যেভাবে আগেরটা জেতাল। কালকে রিয়াদ করল। কোনো অংশে তামিমের অবদান কম না, লিটনেরও অবদান ছিল। কাল তামিম আউট না হলে আরো আগে জিততে পারতাম। দুই ম্যাচেই তামিমের বিশাল অবদান আছে।’
ভারতকে কখনো টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সাত টি-টোয়েন্টির সাতটিই হেরেছে। নিদাহাস ট্রফির প্রাথমিক পর্বে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই হেরেছে বাজেভাবে। এবার তৃতীয় মুখোমুখিতে বাংলাদেশ-ভারত। এবারই শেষ সুযোগ টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর। ফাইনালের মঞ্চে ঘুরে দাঁড়াতে পারলে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও জিততে পারবে বাংলাদেশ। পুরো বাংলাদেশের সমর্থন সাকিব-মাহমুদুল্লাহদের জন্য।
ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রাথমিক পর্বে দুই ম্যাচেই ভারতের কাছে হারে বাংলাদেশ। দুই দলের প্রথম ম্যাচে আঁটসাঁট বোলিং করেন অফ স্পিনার সুন্দর ও লেগ স্পিনার চাহাল। দ্রুত ফিরেন অধিনায়ক রোহিত। তবে ৫৫ রানের চমৎকার ইনিংস খেলেন ধাওয়ান।
দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন রোহিত। ধাওয়ান করেন ৩৫ রান। অফ স্পিনার সুন্দর ২২ রানে ৩ উইকটে। তার তিনটি উইকেটই ছিল পাওয়ার প্লেতে। যথারীতি আঁটসাঁট বোলিং করেন চাহাল। সূত্র: আরটিভি