রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন শনিবার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগমীকাল শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ার ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি তেজগাঁও হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার যোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে তিনি টুঙ্গিপাড়া হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন। সকাল ১০টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে উপস্থিত হয়ে সমাধি সৌধের বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করবেন। পরে তিনি ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নিবেন। বেলা ১১টায় তিনি টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।
একই দিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করবেন। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্তকরণ, আমাদের ছোট রাসেল সোনা শিশু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, সেলাই মেশিন বিতরণ, ‘উঠব জেগে, ছুটব বেগে’ শীর্ষক ভিডিও প্রদর্শন, শিশু সমাবেশ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান, বইমেলা উদ্বোধন এবং শিশুদের আঁকা আমার ভাবনায় ৭ই মার্চ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৩টায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিদের স্বাগত জানাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে গোপালগঞ্জকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে। পুরো জেলা জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের কর্মসূচি সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বলেন, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীবর্গ ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ টুঙ্গিপাড়া আসবেন। তাদের আগমনকে নির্বিঘ্ন করতে টুঙ্গিপাড়ায় তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত। তাদের স্বাগত জানাতে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তোরণ ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।