ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- নির্বাচনে বিজয় আনুষ্ঠানিক মাত্র: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
- দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার‘ রিজভী –ইত্তেফাক
- এ কেমন প্রতারণা: মওদুদ-দৈনিক যুগান্তর
- আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সব করা হবে : নাসিম-কালের কণ্ঠ
- দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই: ফখরুল-মানব জমিন
- হেফাজতকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া অনৈতিক কাজ -তথ্যমন্ত্রী –দৈনিক ইনকিলাব
ভারতের শিরোনাম:
- এনডিএ জোটে বড় ধাক্কা, বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল টিডিপি-দৈনিক আজকাল
- আফগানিস্তানে ঘাঁটি চায় চিন, চিন্তা ভারতের
- পাশেই আছি,’ মমতার সঙ্গে বৈঠকে জানালেন চামলিং-এই সময়
নির্বাচনে বিজয় আনুষ্ঠানিক মাত্র: ওবায়দুল কাদের-প্রথম আলো
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি, নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
আজ শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দলের ত্রাণ উপকমিটির রিকশা-ভ্যান বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে-অর্জনে জনগণ খুশি, কাজেই আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো প্রকার সংকোচ, কোনো প্রকার ভয় নেই।’ তিনি বলেন, ‘কারণ উন্নয়ন-অর্জন করে আমাদের কর্ম দিয়ে আমরা ভয়কে জয় করে ফেলেছি। নির্বাচনে বিজয় একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।’
আওয়ামী লীগ ও সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কথা বললেও তা নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি এত চেষ্টা করেছে একটা আন্দোলন করার জন্য, মানুষ কিন্তু সাড়া দেয়নি। তার কারণ হচ্ছে, এ দেশের জনগণ বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে পছন্দ করে না। প্রত্যাখ্যান করেছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা জানি, আমরা বিশ্বাস করি, এ দেশের জনগণ বিএনপি নামক বিষফোড়ার দলটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির আন্দোলনের ডাকে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না, কাজেই বিএনপির কোন নেতা কী বলল, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করল, এ নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাদের মাথাব্যথা, কীভাবে আমাদের চলমান উন্নয়নের কাজগুলো সমাপ্ত করব।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছে। আর বিএনপি নির্বাচন ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য আমরা তরুণ ভোটার, মহিলা ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছি। বিএনপি এখন ষড়যন্ত্রের পথে এগোচ্ছে। দেশি-বিদেশি নানা মহলের সঙ্গে ওঠবস করছে, কীভাবে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে ভন্ডুল করা যায়, এ ব্যাপারে গোপন বৈঠক করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, তবে এবার আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সেই দিন আর ফিরে আসবে না। পেট্রলবোমার রাজনীতি এই দেশের মানুষ চায় না। যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে, এই দেশের মানুষ তাদের কোনো দিন গ্রহণ করবে না।
বিএনপির হাজার হাজার নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়, জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন তাদের নিজেদের মধ্যে, তাদের গোড়া সমর্থকদের মধ্যে। সাধারণ মানুষ তাদের চায় না। এমনকি আগে যারা বিএনপি সমর্থন করত, কর্মী-সমর্থকেরাও আজকে বিএনপি ছেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সম্মতি দিচ্ছি না। সারা বাংলায় আমাদের নেতারা, জনপ্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন যে, ওমুক জায়গায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যোগ দিতে চায়। আজকে বিএনপির হাজার হাজার কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছে। নেত্রীর কাছে থেকে আমরা গ্রিন সিগন্যাল পাইনি, সে কারণে আমরা সেই যোগদানে এখনো সম্মত হতে পারছি না। বিএনপির জোয়ারের দিন শেষ, এখন ভাটার টান।’
দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার‘- রিজভীর অভিযোগ- ইত্তেফাক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুদক এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে তারা আবারও প্রমাণ করলো তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার। বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হলো, সরকারি ব্যাংক লুট হয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলো, অথচ দুদক এক্ষেত্রে উটপাখির মতো বালিতে মাথা গুঁজে রেখেছে। মামলা করা তো দূরে থাক এদের বিরুদ্ধে একটা শব্দও মুখ থেকে বের হয় না।
আজ শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
রিজভী বলেন, যেভাবে নিম্ন আদালতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে সরকারি চক্রান্ত লক্ষ্য করছে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন,’রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যন্ত খেয়ে ফেলা হয়েছে। আজও পত্রিকার হেড লাইন রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ২০ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে খেলাপি ঋণ। এর উল্লম্ফন গতির লাগাম কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৪ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।’
‘খেলাপি ঋণের প্রকৃত টাকার অংক আরও অনেক বেশি’ বলে দাবী করে রিজভী বলেন, ‘এই টাকা সব ক্ষমতাসীনদের পকেটে ঢুকেছে। লুট করে শেয়ার বাজার শেষ করে দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কারণ তারা সরকারি দলের লোকদের আত্মীয়স্বজন, সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদেরও আত্মীয়স্বজন। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে যাতে কোন আওয়াজ না ওঠে সেজন্য গণতন্ত্রকে আইসিইউ-তে পাঠিয়ে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে এবং সোচ্চার বিরোধী দলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে জাতিকে নির্বাক করার জন্যই সকল সময়ের গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার অসীম সাহসী বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করা হয়েছে।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘ব্যথিত-বঞ্চিত ও অপমানিত জনগণ এই সরকারের অন্যায় উৎপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সব করা হবে : নাসিম-কালের কণ্ঠ
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তাদের সুস্থতার জন্য সব করা হবে। প্রয়োজনে আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। আমাদের বার্ন এবং অর্থোপেডিক্সের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক কাজ করছেন, যে কোনো প্রয়োজনে তারাও সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন আহত শেহরিনকে দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন, নেপালে বিমান বিধস্তের ঘটনায় হতাহত সবার খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে ৮ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করে নেপাল পাঠানো হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, এই বিমান দুর্ঘটনায় আমরা অনেক সন্তানকে হারিয়ে, অনেক ভাই-বোনকে হারিয়েছি। এমনকি অনেক তরুণ-তরুণী, যারা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাদের মত মেধাবীদেরকে হারিয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেহরিনের চিকিৎসা কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে ঢামেকের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ কেমন প্রতারণা: মওদুদ-দৈনিক যুগান্তর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। তারা একদিকে বলে নির্বাচনে আসুন, অন্যদিকে বিরোধী দলকে কোনো কথা বলতে, সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। এ কেমন প্রতারণা?
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন আয়োজিত নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বললেও বিরোধী দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে নৌকায় ভোটের প্রতিশ্রুতি চাইছেন, যা সম্পূর্ণ নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী।
মওদুদ বলেন, বিএনপি একমাত্র বিরোধী দল, যারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। যতই কৃত্রিম বিরোধী দল তৈরি করেন না কেন, কাজ হবে না। সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নিজেদের মতো ভোটের চেষ্টা আর সফল হবে না।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই উল্লেখ করে তিনি মওদুদ বলেন, বাংলাদেশে এখন সংবাদপত্রের শান্তিপূর্ণ স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। তারা চাইলে সব কথা তুলে ধরতে পারেন না। বিএনপির নিউজ একটু বেশি দিলেই তাদের কাছে ফোন আসে।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি আমির হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, এলডিপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই: ফখরুল-মানব জমিন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবশে নেই। সরকারের তৈরি করা যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে তাদের লক্ষ একটাই আওয়ামী লীগকে আবার পুনরায় ক্ষমতায় বসানো এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা। এই নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছাগুলোর প্রতিফল ঘটাবেন এটাই আমাদের কাছে এখন ষ্পষ্ট। আজ শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে শায়িত বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৭ম মুত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষ সাংকাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ৫টি সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের কোনো অধিকার নেই। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে শুধু নির্বাচন করলেই গণতন্ত্র হবে না।
এই নির্বাচন মানেই আওয়ামী লীগকে আরো পোক্ত করা। সুতরাং এই নির্বাচনে জনগণের সমর্থন থাকবে না। আমরাও এই নির্বাচনে অংশ নেবো কিনা তা ভেবে দেখতে হবে। কারণ দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মইনুল ইসলাম খান শান্ত, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রোখসানা খানম মিত,ু বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপি নেতা গয়েশ্বন চন্দ্র রায়ের মেয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাপ্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সহসম্পাদক অর্পনা রায় দাস, জেলা বিএনপির কৃষি বিষয়ক সম্পাদক খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলুসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও দেলোয়ার হোসেনের পরিবারের সদস্যরা।
হেফাজতকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া অনৈতিক কাজ -তথ্যমন্ত্রী-দৈনিক ইনকিলাব
হেফাজতকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া অনৈতিক কাজ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, “হেফাজতকে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়, পৃষ্ঠপোষকতা করে তারা অনৈতিক কাজ করছেন, তারা রাজনৈতিক অপরাধ করছেন। জঙ্গি-সন্ত্রাসী রাজাকার ও তেঁতুল হুজুরদের আশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষক, সঙ্গী, সমর্থক, রাজনীতিতে সক্রিয় দেখছি। আমরা তাদের আলাদা করতে পারছি না।”
বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘প্রতিবাদী লেখক জাফর ইকবাল হত্যা প্রচেষ্টা: ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের বাধা কোথায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হতাশা প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দার্শনিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে আমরা স্থির জায়গায় যেতে পারছি না। যত দিন না পারব, বাংলাদেশে রাজনীতি অক্ষুণ্নভাবে অসাম্প্রদায়িক জায়গায় দাঁড়াবে না।”
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রত্যেকটি মানুষ, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ আমাদের সবারই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো উচিত। এটা বঙ্গবন্ধু বাহাত্তরের সংবিধানে করেছিলেন। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করাটা কোনও অগণতান্ত্রিক কাজ নয়। এটা গণতান্ত্রিক কাজ। আমরা বলি গণতন্ত্র হচ্ছে আইনের শাসন এবং সুশাসন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা অপরাধ করে, তারা গণতন্ত্রের সঙ্গে যাচ্ছে না। সবাই গণতন্ত্রের অধিকারপ্রাপ্ত হন না। যারা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মূল্যবোধের সঙ্গে একমত হন, যারা একে অপরের ওপর হস্তক্ষেপ করবেন না, তারাই গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করবেন।’
জাফর ইকবালের ওপর হামলার ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের পক্ষে যারা ওকালতি করে, তারা প্রথমেই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে দেন যে- ভিন্ন ধর্মের লোককে আমি সহ্য করবো না, তাকে বাদ দিতে হবে। সেদিক থেকেই যখন রাজনীতির চর্চা হয়, সেখানে দার্শনিকভাবেই একটি সংঘাতের কিংবা আক্রমণের কিংবা বল প্রয়োগের নির্দেশনা থাকে। আপনি হেফাজতে ইসলামের কথাই বলুন অথবা আইএস-এর কথা বলুন অথবা তালেবানের কথা বলুন অথবা পাকিস্তানি জামায়াতের কথা বলুন অথবা বুদ্ধিজীবীদের ওপর হামলাকারী জঙ্গিগোষ্ঠীর কথা বলুন সবাই ওই মতবাদে বিশ্বাস করে বলেই ঘটনাটি ঘটেছে।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার জন্য আমার তরফ থেকে যা করার আমি করে যাবো। মন্ত্রী পরিষদে তদবির করবো, সংসদে তদবির করবো, রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এবারে কোলকাতার বাংলা দৈনিকগুলোর বিস্তারিত খবর:
এনডিএ জোটে বড় ধাক্কা, বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল টিডিপি-দৈনিক আজকাল
কোণঠাসা হয়ে পড়ছে বিজেপি। ক্রমশ চাপে পড়ে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে উপনির্বাচনে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সে ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই আবারও চাপ বাড়ল দলের উপর। কারণ এবার এনডিও জোট ছাড়ল টিডিপি। মোদি সরকারকে জোর ঝটকা দিয়ে এবার কেন্দ্রের এনডিএ জোট ছাড়ল চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি। দলের তরফে ইতিমধ্যেই ট্যুইট করে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
গত ৮ মার্চ এনডিএ মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন টিডিপির ২ মন্ত্রী। এরপরই অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইডুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। ফলে দুই শরিকের সংঘাত পৌঁছয় চরমে। এরপরই প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এই চরম সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবকে সমর্থন করার কথা জানিয়ে দিয়ে তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) বিপাকে ফেলে দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির সরকারকে। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বিধানসভায় বলেন,‘যে দলই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করুক না কেন,প্রয়োজন হলে আমরা সেই প্রস্তাব সমর্থন করব।’
অন্ধ্রপ্রদেশের স্পেশাল স্টেটাসের দাবি পূরণ না হওয়াতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল টিডিপি। আর শুক্রবারই দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে টিডিপি জানিয়ে দেয়, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ থেকে তারা বেরিয়ে গেল।
আফগানিস্তানে ঘাঁটি চায় চিন, চিন্তা ভারতের-আনন্দ বাজার
আফগানিস্তানের নির্জন পাহাড়ি এলাকা ওয়াখান করিডর-এ সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য কাবুলের সঙ্গে কথা শুরু করেছে বেজিং। বিষয়টি নিয়ে চাপ বাড়ছে সাউথ ব্লকের। দীর্ঘ দিনের লড়াইয়ের পরে পাকিস্তানকে সাময়িক ভাবে পিছনে ফেলে কাবুলে প্রভাব ও উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞে সামিল হতে শুরু করেছে ভারত। কিন্তু এখানেও ড্রাগনের ছায়া নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর। শুধু ছায়াই নয়, চিনের সামরিক ঘাঁটি তৈরি হলে তা ভারতের নিরাপত্তার পক্ষেও যথেষ্ট কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ বলেছেন, ‘‘সরকার রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে। ভারতের সঙ্গে অন্য কোনও দেশের সম্পর্ক নিজস্ব দ্বিপাক্ষিক সমীকরণের উপর চলে। কোনও তৃতীয় দেশের দ্বারা তা প্রভাবিত হয় না। গোটা বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।’’
ভি কে সিংহের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার মঞ্চে চিনের উপস্থিতি বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে। এমনিতেই পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা। আমেরিকার বিরুদ্ধে আঞ্চলিক অক্ষ গড়তে এ বার যদি পাকিস্তান ও চিন আফগানিস্তান প্রশ্নে হাত মেলায় তা হলে প্রতিবেশী হিসেবে সব চেয়ে আগে সমস্যায় পড়বে দিল্লিই। পাক সেনা তথা আইএসআই-কে ওই অঞ্চলে ফের চাঙ্গা করতে বেজিং উদ্যোগী হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, শুধুমাত্র ভারতকে চাপে রাখা বা পাকিস্তানকে ওই অঞ্চলে ফের শক্তিশালী করাটা চিনের লক্ষ্য নয়। এই সামরিক ঘাঁটি নির্মাণে বেজিংয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে। চিনের আশঙ্কা যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে জঙ্গি সে দেশে প্রবেশ করতে পারে। ইস্ট টার্কিশ ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম)-র জঙ্গি সদস্যরা ওয়াখান পার হয়ে নিকটবর্তী চিনের জিনজিয়াং এলাকায় প্রবেশ করে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে মনে করছেন চিনা কর্তারা। ইরাক এবং সিরিয়া থেকে আইএস জঙ্গিরাও মধ্য এশিয়া পার হয়ে একই পথে জিনজিয়াং-এ পৌঁছতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানেশ সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘আমরা ওই এলাকায় নিজেরাই ঘাঁটি তৈরি করব ভেবেছিলাম। কিন্তু চিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। অর্থ ও অস্ত্র পরিকাঠমো আমাদের পাশে থাকতে চাইছে ওরা।’’
এই পরিস্থিতিতে কাবুল তথা পশ্চিমী বিশ্বকেও বার্তা দিতে সক্রিয় হয়েছে সাউথ ব্লক। সম্প্রতি সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে আফগানিস্তানে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘২০১১ সালে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই চুক্তিতে স্থির হয়, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধ, মাদক চোরাচালান, হাওয়ালার মতো বিষয় রুখতে যৌথ ভাবে কাজ করবে দু’দেশ।’’#
পাশেই আছি,’ মমতার সঙ্গে বৈঠকে জানালেন চামলিং-এই সময়
দার্জিলিং নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। বাংলার পাশেই রয়েছে সিকিম। শুক্রবার উত্তরকন্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে জানালেন পবন চামলিং।
দুই রাজ্যের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জেরে তৈরি যাবতীয় তিক্ততা দূর হয়েছে। সিকিম বাংলার পাশেই রয়েছে। আমরা এক সঙ্গে কাজ করব। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা সেরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনই জানালেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে উত্তরকন্যায় অপেক্ষা করছিলেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নির্ধারিত সময়েই ভবন চত্বরে পৌঁছয় চামলিংয়ের কনভয়। ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান নেত্রী। পাল্টা সৌজন্য হিসেবে মমতার গলায় সিকিমের ঐতিহ্যময় পবিত্র উত্তরীয় ‘খাদা’ পরিয়ে দেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী।
বৈঠকের শেষে সংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হন দুই মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান,’দুই রাজ্যের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। ছোটখাটো সমস্যা আমরা মিটিয়ে নেব। আমরা চাই দুই রাজ্য একসঙ্গে কাজ করুক। এর পর শিল্প সম্মেলনে সিকিমকে আমন্ত্রণ জানাবে রাজ্য সরকার।