সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আজকের মধ্যেই নিহতের ময়নাতদন্ত শেষ হবে। কাল থেকে শনাক্তকরণের কাজ শুরু হবে। যেসব মৃতদেহ খালি চোখে দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে সেগুলো আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে একযোগে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানো হবে।
ডা. সোহেল আহমেদ বলেন, যেসব মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হবে না সেগুলোর ডিএনএ প্রোফাইলিং করা হবে। প্রোফাইলিংয়ের জন্য এসব মৃতদেহের দাঁত, চুল, নখ বা পোশাকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ।
রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বলেন, নিহতদের আত্মীয়-স্বজনেরা চান, সবার মৃতদেহ একসঙ্গে পাঠানো হোক। সে জন্য সবার লাশ একসঙ্গে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, রবি বা সোমবারের মধ্যে তারা শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করবেন। তবে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া মঙ্গলবারেও গড়াতে পারে।ধরে রাখুন মঙ্গলবার হস্তান্তর করা যাবে মরদেহগুলো। তবে আবারও বলছি, আমরা চেষ্টা করব। এটা ওইভাবে নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আগামী রোববার ঢাকার সিআইডির ডিএনএ ল্যাবে গিয়ে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা হয়।
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত সোমবার ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।