অপুকে যেভাবে ‘প্রপোজ’ করেছিলেন শাকিব
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদের তৃতীয় ও শেষ শুনানি আজ। যথারীতি ডিভোর্সের সিদ্ধান্তে অটল শাকিব আজও আসবেন না শুনানিতে। সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই দেখে অপুও বিচ্ছেদ মেনে নিয়েছেন। গত বছরের ২২ নভেম্বর অপুকে বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠান শাকিব। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তিন মাস পর কার্যকর হবে বিবাহ বিচ্ছেদ।
সেই হিসাবে ২২ ফেব্রুয়ারি শাকিবের বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠানোর তিন মাস পূর্ণ হয়। তবে ওই সময় শাকিব-অপুর বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়নি বলে জানান ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-৩) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। তিনি বলেন, আমরা সিটি করপোরেশন তাদের তিন মাসে তিনবার ডাকব, সেই তৃতীয়বার বিষয়টির ফয়সালা হবে। তিনি আরও জানান, আজ ১২ মার্চ তৃতীয় ও শেষবারের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। এদিন যদি তারা না উপস্থিত হন, তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়ে যাবে। আজই কার্যকর হতে যাচ্ছে তারকা দম্পতির বিচ্ছেদ, কিন্তু তাদের সেই গল্পের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল, আরও পরিষ্কার করে বললে কে কাকে প্রপোজ করেছিল এবং সেটা কিভাবে? চলুন অপুর মুখ থেকেই শুনে নেওয়া যাক সেই গল্প।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘২০০৮ সালের ১৭ এপ্রিল। আমরা আশুলিয়ার প্রিয়াঙ্কা শুটিং স্পটে সোহানুর রহমান সোহান ভাইয়ের ‘কথা দাও সাথী হবে’ ছবির কাজ করলাম। কাজ শেষে শাকিব বলল, তোমার সঙ্গে জরুরি কথা আছে, সন্ধ্যায় অবশ্যই দেখা করতে হবে। তার মুখ থেকে যে কথাটি শোনার জন্য এতদিন অধীর হয়ে ছিলাম। এক সময় ও বলল আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই এবং তা আগামীকালই। মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি পাওয়ার আনন্দে মনটা আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে নেচে উঠল। নিঃসংকোচে তার হাতে হাত রাখলাম। শাকিব বুকে টেনে নিল আমাকে। আমরা দুজন মুহূর্তেই এক হয়ে গেলাম। মনে হলো এ বাঁধন কখনো যাবে না ছিঁড়ে। হাজির হলাম মিরপুরের শাহআলী মাজারে। সেখান থেকে দোয়া নিয়ে নতুন দিনের মহানন্দে চলে গেলাম যার যার বাড়িতে।’