বাঞ্ছারামপুরে এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অসুদোপায় সুযোগ দেয়ার অভিযোগ
ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারামপুর : দেড় শতাধিক পরীক্ষার্থী।পরীক্ষা দিচ্ছেন ফ্রী ষ্টাইলে।তাদের রক্ষার জন্য রয়েছেন মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক।৬টি কক্ষের সবকটির দরজা ২টি করে থাকলেও বাইরে থেকে কেউ যেনো দেখতে না পারে,সেজন্য একটি করে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।কেন্দ্রর বাইরে প্রহরারত একজনমাত্র পুলিশ সদস্য রয়েছেন।একজন একজনের খাতা দেখে দেখে লিখছে।কারো হাতের তালুতে নকল।বাধা দেয়ার কেউ নেই।’’ এমন অবস্থাই বিরাজ করছিলো বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী আলিয়া মাদ্রাসাটির কেন্দ্রে।
খোজ নিয়ে জানা যায়,উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) সেদিন ঢাকায় সরকারি কাজে ছিলেন।তার অনুপস্থিতির কথা জানতে পেরে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আবদুস সাত্তার পরীক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা ফ্রী করে দেন পরীক্ষার্থীদের।মাঝখানে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের একটি টীম খবর শুনে কেন্দ্রে গেলে প্রিন্সিপাল পরীক্ষা পরিদর্শনে বাধা প্রদান করেন।
এমতাবস্থায় এই কয়েকজন সংবাদকর্মী পরীক্ষা পরিদর্শনে গেলে মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ ইউএনও-এর লিখিত পারমিশন লাগবে এই অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদেও পরীক্ষার ছবি তুলতে বাধা দেয়া হয়।বাধা ডিঙিয়ে সংবাদকর্মীরা কেন্দ্রটির কেবল ২য় তলা পরিদর্শন করে দেখতে পান কেউ একজনের টা আরেকজন আবার কেউ কেউ হাতের তালুতে নকল নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
এদিকে,বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়েও ফ্রী ষ্টাইলে পরীক্ষা দিয়েছে ৬শতাধিক পরীক্ষার্থী।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুপসদী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জানান-‘সব স্কুলেই একজন পরীক্ষার্থীর খাতা দেখে আরেকজন লিখে।আমার কেন্দ্রে লিখলে সমস্যা কি?’ এবিষয়ে জানতে চাইলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শরিফুল ইসলাম বলেন,-‘আমি বিষয়টি দেখবো’।