নবী করিমকে (সা.) প্রথম যে নারী দেখেন
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মুবারক শরীর স্পর্শ করেন প্রথম যে নারী তিনি হযরত ওয়ারাকা (রা.) একজন ইথুপিয়ান রমণী। নবীজি (সা.) জন্ম নেবার সময় উক্ত স্থানে ওয়ারাকা (রা.) ছিলেন এবং তার কোলেই প্রথম চোখ খোলেন নবীজি (সা.)।
তখন এই মহিমান্বিত জননীর বয়স ৯ অথবা ১০ বছর। তার সম্বন্ধে জানা যায়, তিনি খুবই কম কথা বলতেন এবং যোগাত্মক মানসিকতার ছিলেন। সব বিষয় বস্তুর মধ্যেই ভালো কিছু লক্ষ্য করতে চেষ্টা করতেন। হযরত আমিনা বিনতে ওয়াহাব (রা.) যখন অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখেন যে তার পেট থেকে একটি সূর্য বেরিয়ে যাচ্ছে যা আলোকিত করছে সমস্ত মক্কা এবং মক্কা পেরিয়ে সমস্ত ইরাক। সে আলোয় সব কিছু আলোকিত হয়ে যাচ্ছে।
তিনি প্রথম যাকে বলেন তিনি হলেন হযরত ওয়ারাকা (রা.)। হযরত ওয়ারাকা (রা.) হেসে বলেন- ‘স্বর্গ থেকে আসা বার্তা, আপনার সন্তান নিশ্চয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো বান্দা’; সুতারং বলা যায় সে ছিলেন প্রথম বিশ্বাসীও বটে! তাদের মধ্যে আল্লাহ পাকের সম্বন্ধে ধারণা ছিল। তারা জানতেন আল্লাহই সৃষ্টিকর্তা!
নবী করিম (সা)-এর নব্যুয়াত প্রাপ্তির উপর যে নারী প্রথম বিশ্বাস স্থাপন করেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার পূর্বে এবং কোরআনে করিম নাজিলের আগেই যিনি আল্লাহ সুবাহানা তালার উপর ঈমান আনেন এবং তিনি তার সম্প্রদায়ের কাছে শুদ্ধ নারী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। প্রত্যেকবার রাসূলে করিম (সা.) যখন কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হন, তিনি সাহায্য করেছেন উত্তর খুঁজতে।
হেরা পর্বতে সাধনার জন্য আমাদের প্রিয় নবী রাসূলে করিম (সা.) যখন যান, হযরত খাদিজা (রা.) তার জন্য খাবার নিয়ে যেতেন এবং তখন তার বয়স ছিল ৫৫ বছর। একদিন শেষ নবী (সা.) বললেন- ‘ও খাদিজা আমাকে ঢেকে দাও’ এবং খাজিদা (রা.) তাকে সাহায্য করলেন এবং তার কথা শুনে আল্লাহর উপর ঈমান আনলেন বললেন- ‘আল্লাহ আপনাকে কখনোই অসম্মানিত করবেন না। আল্লাহ আপনাকে সে কারণে ভালোবাসেন; যে কারণে আমি আপনাকে ভালোবাসি।’ ঢাকাটাইমস