বাজি জিতে বাজিমাত মেসির!
স্পোর্টস ডেস্ক : মঙ্গলবার কোনো ম্যাচ ছিল না বার্সেলোনার। ছিল হালকা অনুশীলন। সেই অনুশীলনেই জাপানি টেলিভিশনের সঙ্গে অন্য রকম এক বাজি জিতে সংবাদ শিরোনাম হলেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা বিশ্ববাসীকে আরেকবার প্রমাণ করে দিলেন, তার শ্যুটিং দক্ষতা কতটা নিখুঁত। গোলপোস্টে ঝুলিয়ে রাখা ২০টি প্যানেল বোর্ড বা প্লে-কার্ড ভেঙ্গে ফেলতে তাকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১০০ সেকেণ্ড। নিজের অবিশ্বাস্য শ্যুটিং দক্ষতায় ৮২ সেকেণ্ডেই বাজিমাত করেছেন মেসি। শটের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ওই ২০টি প্লে-কার্ড।
বার্সার অভ্যন্তরিণ অনুশীলন হলেও মেসি বাজিটা ধরেছিলেন জাপানি এক টেলিভিশনের সঙ্গে। বাজিটা ছিল শটের মাধ্যমে গোলপোস্টে ঝুলিয়ে রাখা ২০টি প্যানেল বা প্লে-কার্ড ভেঙে ফেলতে হবে। সারি বেধে দাঁড়ানো ডিফেন্ডার, গোলরক্ষকদের হারিয়ে মুড়িমুড়কির মতো গোল করেন যিনি, তিনি লক্ষ্যভেদে ফাঁকা পোস্টে ঝুলিয়ে রাখা প্লে-কার্ড ভাঙ্গতে পারবেন না!
ফাঁকা পোস্ট কথায় যতটা সহজ মনে হচ্ছে, ব্যাপারটি অতটা সহজ ছিল না। কারণ, গোলপোস্টে এলোমেলোভাবে ঝুলিয়ে রাখা ১, ২, ৩, ৪, ৫,….২০ লেখা প্যানেল বোর্ড বা প্লে-কার্ডগুলো ভাঙ্গতে মেসিকে সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল মাত্র ১০০ সেকেণ্ড।
৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী চ্যালেঞ্জটা নেন হাসিমুখেই। গোলপোস্টের কাছেই রাখা হয় বড়সড় একটা কাগুজে বাক্স। সেই বাক্সের ভেতর থেকে মই বেয়ে গড়িয়ে আসে একের পর এক বল। বাঁ-পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করতে থাকেন মেসি। মাঠে নেমে যেভাবে নিখূঁত শটে গোলরক্ষককে বোকা বানান, ঠিক সেরকম দক্ষতাতেই লক্ষ্যভেদ করতে থাকেন মেসি।
৮২ সেকেণ্ডে বাজিতে জিতে মেসি যতটা খুশি হন, তার চেয়েও বেশি বিস্মিত হন জাপানি ওই টেলিভিশনের তরুণ প্রতিবেদক। ওয়েবসাইট।