রেকর্ডের ছড়াছড়ি
চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে আছেন জিম্বাবু্ইয়ান অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। মঙ্গলবার (২৩ই জানুয়ারী) সিরিজের নিজেদের শেষ টাইগারদের মুখোমুখি জিম্বাবুয়ে। তিন জাতির টুর্ণামেন্টে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। বল হাতে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের ভালই ভুগিয়েছেন।জিম্বাবুয়ের বোলাররা। মাত্র ২১৬ রানে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস।
২১৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব বেশি স্বস্তিতে নেই জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। মাশরাফি-সাকিবের বোলিং তোপে শুরুতেই বিপদে পরে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ে শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অধিনায়ক মাশরাফি। দলীয় মাত্র ১৪ রানের মাথায় জিম্বাবুইয়ান ওপেনার মাসাকাদজা সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৫ রান করে বিদায় নেন।
দুই ওভার পরেই সাকিবের স্পিন বিষে নীল আরেক ওপেনার সুলেমান মীরে। ২২ বলে ৭ রান করে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। পরের বলেই অভিজ্ঞ টেইলরকে লেগ বিফরের ফাদে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ২০ রানেই নেই জিম্বাবুয়ের তিন টপ অর্ডার। সম্ভাবনা জাগিয়েও হ্যাটট্রিকের দেখা পায়নি সাকিব।
পরের ওভারেই গোটা সিরিজে ব্যর্থ আরভিনকে স্লিপে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ বানিয়ে উত্তসূরীর পথ ধরান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। পরের ওভারে আবার সাকিবের আঘাত। তবে রিভিউর কল্যানে বেঁচে যান মুর।
ম্যাচের ১৩ ওভারে বোলিংয়ে আসেন বাংলার বিস্ময় বালক মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজের কাটারে বারবার পরাস্থ জিম্বাবুইয়ান রাজা। টানা ৩ ওভারই মেডেন নেয় কাটার মাষ্টার। মোস্তাফিজের করা ৪র্থ ওভারের শেষ বলে রানের দেখা পায় জিম্বাবুয়ে। অর্থাৎ, টানা ২৩ বল ডট দেওয়ার রেকর্ড গড়েন মোস্তাফিজ। এর আগে ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা পাচ ওভার মেডেন নেওয়ার রেকর্ড গড়েন ইংল্যান্ডের জেমস এন্ডারসন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৩ জয়ের দিনে বাংলাদেশের রেকর্ডের ছড়াছড়ি।
প্রসঙ্গত, ম্যাচটিতে মোটে তিনটি রেকর্ড গড়েন তামিম ইকবাল। হোম অব ক্রিকেট মিরপুর স্টেডিয়ামে ৫টি শতক ও ১৫টি অর্ধশকের বিনিময়ে তামিমের রান সংখ্যা এখন ২৫৪৯ রান (২৪৭৩+৭৬)। অন্যদিকে তালিকায় দ্বিতীয়তে নেমে আসা শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়সুরিয়া কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭১ ম্যাচে ৭০ ইনিংস খেলে ৪টি শতক ও ১৯টি অর্ধশতকের সাহায্যে করেন ২৫১৪ রান।
এ ছাড়াও ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ৬০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। ১৭৬ ম্যাচে ১৭৪ ইনিংস খেলে তামিমের রান ছিল ৫,৯৩৪। ৪০টি অর্ধশতক ও ৯টি শতকের সাহায্যে তিনি এই রান করেন। তবে আজ ৮৬ রান যোগ হওয়াতে ৬ হাজার ছাড়িয়ে তামিমের রান ৬০২০।
আরেকটি রেকর্ড হচ্ছে, এই ৫ থেকে ৬ হাজার রানের ঘরে পৌছাতে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলেছেন তামিম। এ দিক থেকে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও হাশিম আমলাকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। তামিম খেলেছেন ১৭ টি ইনিংস, কোহলি ২২ এবং আমলা ২৩ ইনিংস খেলেছেন।