মুস্তাফিজেই সবার দৃষ্টি
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশের পেসার সেনসেশন মুস্তাফিজুর রহমান। ভারতের বিপক্ষে ঝলক দেখিয়ে শুরু ক্রিকেট ক্যারিয়ার। খেলেছেন আইপিল ও কাউন্টি লিগে। কাটার মাস্টারের জাদুকরী বোলিংয়ে নাকাল হয়েছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান। কিন্তু কাউন্টিতে গিয়ে সেই যে ইনজুরিতে পড়লেন। তারপর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগটাই পাননি মুস্তাফিজ। একের পর এক ইনজুরি। চোট যেন পিছুই ছাড়ছে না এ তরুণ তুর্কীর।
দীর্ঘ দিন পর আবারও ঘরের মাঠে খেলতে নামছে মাশরাফি বাহিনী। আর সেই হোম সিরিজকেই দেখা হচ্ছে মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সে ফেরার মিশন হিসেবে। কারণ মুস্তাফিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স ঘরের মাঠে। ২২ ওয়ানডে ম্যাচ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ভিন দেশের চেয়ে তার বোলিং বেশি কার্যকর দেশেই। সর্বশেষ বাংলাদেশে যে ম্যাচ তিনি খেলেছিলেন তা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেন পাঁচ উইকেট। এরপর আর ৫ উইকেট প্রাপ্তি নেই। ২০১৫ এর ওই ম্যাচের পর দেশে কোনো ওয়ানডে খেলেননি এ পেসার। এছাড়া ভারতকে গুঁড়িয়ে দেওয়া সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে হইচই ফেলে দেন মুস্তাফিজ।
কিন্তু সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে তার উইকেট প্রাপ্তি দু’টি। যে ভারতকে দেশের মাটিতে বিধ্বস্ত করেছিলেন ওই কাটার মাস্টার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সে ভারতের বিপক্ষে ছিলেন উইকেটশূন্য। বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত ৬ ওভারে ৫৩ রান দিয়েছিলেন তিনি সে ম্যাচে। অবশ্য ইনজুরির সাথেই তার বেশির ভাগ সময়ে চলছে লড়াই।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেভাবে সফলতা তিনি দেখাতে পারেননি। রাজশাহীর হয়ে বিপিএলে খেলা শেষ দুই ম্যাচে উইকেটই পাননি। খেলেছেন এরপর জাতীয় ক্রিকেট লিগে। বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে নিয়েছেন দুই ইনিংসে তিন উইকেট। ফলে উইকেট প্রাপ্তিতে আসলেই দুর্দিন যাচ্ছে এ বাঁহাতি পেসারের। আসন্ন তিন জাতি ক্রিকেটে তিনি পূর্ণ ফিট হয়েই দলে। প্রথম দুই ম্যাচের স্কোয়াডেও আছেন।
স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা মুস্তাফিজের কাছ থেকে অনেক কিছুই প্রত্যাশা করছেন। পেস অ্যাটাকে মাশরাফি, মুস্তাফিজ ছাড়া সম্ভবত রুবেল বা সাইফুদ্দিন বিবেচ্য হবেন স্কোয়াডে। সেখানে সবার দৃষ্টি থাকবে মুস্তাফিজেই।
এদিকে সাবেক ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশও মুস্তাফিজকে তার আসল স্থানে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।আর ভক্তদের প্রত্যাশা স্বরূপে ফিরবেন ‘দ্য ফিজ’।