ডালিম খাওয়ার রয়েছে বহু উপকারিতা। যদিও কিছুটা দামি হওয়ার কারণে অনেকেই ডালিম খেতে চান না। তবে নিয়মিত ডালিম খেলে তা দেহের বহু উপকার করে।
ডালিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. পুষ্টিগুণ: ডালিমে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। মাত্র এক কাপ ডালিম দানায় রয়েছে আপনার দৈনন্দিন চাহিদার ৩০ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩৬ শতাংশ ভিটামিন কে, ১৬ শতাংশ ভিটামিন বি৯ ও ১২ শতাংশ পটাশিয়াম।
২. ক্যান্সার প্রতিরোধী: ডালিমের বেশ কিছু উপকার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ। বিশেষ করে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে এর ভূমিকা প্রমাণিত হয়েছে গবেষণায়।
৩. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডালিম দেহের কোলস্টেরলের ঝুঁকি কমায়। এতে রক্তচলাচল বৃদ্ধি পায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৪. স্মৃতিশক্তি বাড়ায়: ডালিম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। আর এ কারণে এটি অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগীদের জন্যও উপকারি।
৫. রক্তচাপ: ডালিম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আপনি যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন তাহলে নিয়মিত ডালিম খাওয়ার মাত্র দুই সপ্তাহেই আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
৬. হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি: ডালিমে রয়েছে বহু পুষ্টি উপাদান, যা দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। এতে অ্যানেমিয়া ও রক্তের নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
৭. প্রাকৃতিক ইনসুলিন: ডালিম ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। অনেকেই একে ইনসুলিনের বিকল্প হিসেবে বলেন। এটি মিষ্টি হলেও সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের কোনো সমস্যা হয় না।
৮. আথ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম: ডালিম আথ্রাইটিসে উপকার করে। এছাড়া এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।
৯. ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী: দেহে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে ডালিম। এছাড়া এটি ফাংগাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধেই ভূমিকা রাখে।
১০. শারীরিক অনুশীলনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি: সুস্থ থাকার জন্য কিংবা ভালো পারফর্মেন্সের জন্য অনেকেই শারীরিক অনুশীলন করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনুশীলনের পাশাপাশি ডালিম খাওয়া হলে তা কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।