১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন নেহরা
---
স্পোর্টস ডেস্ক :বয়স হয়ে গেছে ৩৮। এর ১৮ বছর ধরেই খেলছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন আশিস নেহরা। আগামী ১ নভেম্বর তার ঘরের মাঠ ফিরোজ শাহ কোটলায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেই অবসরে যাবেন ভারতের এই ফাস্ট বোলার।
নেহরা তার এই সিদ্ধান্তের কথা দলের কোচ রবি শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে জানিয়ে দিয়েছেন। বিসিসিআইয়ের এক জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। নেহরার অবসর নিতে যাওয়ার খবর দিয়েছে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন-ক্রিকইনফোও।
বিসিসিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আশিস রবি ও বিরাটকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ১ নভেম্বরের পর সে আর খেলা চালিয়ে যেতে চায় না। অবশ্যই এটার মধ্যে কিছুটা আশ্চর্যের ব্যাপার আছে। তার ভাবনা ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সে মনে করছে, এটিই সরে যাওয়ার সঠিক সময়।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের অনেকটা সময় চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে নেহরাকে। অস্ত্রোপচারই করাতে হয়েছে ১২ বার! এ ছাড়া ছোট ছোট চোট তো ছিলই। চোট কাটিয়ে আবার দলে ফিরেছেন। দলের দারুণ সব সাফল্যে রেখেছেন অবদান।
নেহরার আন্তর্জাতিক অভিষেক ১৯৯৯ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে। ২০০১ সালে ওয়ানডে অভিষেকের পর ভারতের সীমিত ওভারের দলে নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন। ভারতকে ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলতে রাখেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ওই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২৩ রানে ৬ উইকেট এখনো বিশ্বকাপে ভারতীয় কোনো বোলারদের সেরা বোলিং।
কিন্তু চোটের কারণে তিনি ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত ভারতের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। চোট কাটিয়ে আবার ফিরেছেন। খেলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপেও। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান মিসবাহ-উল-হকের ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুল ভেঙে ফেলেন। ফলে খেলতে পারেননি ফাইনালে। এরপর আর ওয়ানডে দলেই ফেরা হয়নি তার।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ভারতের হয়ে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলছেন নেহরা। খেলেছেন ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও আছেন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে তাকে একাদশে না রাখায় অনেকেই অবাক হয়েছেন। কে জানে, অবসরের ভাবনাটা হয়তো এখান থেকেই!