নিষেধাজ্ঞার ফল ভালো হবে না : পশ্চিমকে মিয়ানমারের হুমকি
---
দেশটির পরিকল্পনা ও অর্থমন্ত্রী উ তুন তুন নাইং বলেন, ‘মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা শোনা যাচ্ছে। এটা ভালো খবর নয়। অর্থনৈতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা আমাদের অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাধা দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, `আমরা সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্ব বজায় রাখতে চাই। যখন কেউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, আমাদেরকে রাখাইন নিয়ে সত্য বলতেই হয়। এই নিষেধাজ্ঞা আমরা চাই না। আমরা প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরবো।’
সবকিছু মিলিয়ে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার প্রত্যক্ষ প্রভাব খুব বেশি নয়। মিয়ানমার টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে মিয়ানমারের উপর সরাসরি প্রভাব কম পড়বে। তবে এতে কর্মসংস্থার সংকট তৈরী হওয়ার মধ্য দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উ তুন তুন বলেন, যেই দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বেশি তাদের সঙ্গে ব্যবসায় প্রভাব ফেলতে পারে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ এর সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক অনেক কম। তাই এই নিষেধাজ্ঞায় অর্থনৈতিকভাব খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না মিয়ানমার।’
ক্ষমতাসীন এনএলডি সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ইউ ইয়ে মিন উ বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারে বিভক্তি ও অনৈক্যর সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, মিয়ানমার এখনও অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। নিষেধাজ্ঞায় দেশটি আরও বিপাকে পড়বে। এটা সরকারের গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে। তাই এই মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা আরোপে কারোরই লাভ হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশে সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। আমরা সবাই দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে একসঙ্গে আমরা এর সফলতা পাবো। তাই কোনও পরাশক্তি যদি নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তার মানে হচ্ছে তারা আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এতে কেউ উপকৃত হবে না।’
ডি ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টার দফতরের মুখপাত্র উ জাও তায় বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার ধরন কেমন সেটা বিবেচ্য নয়, পশ্চিমের এমন কিছু করা উচিত নয় যা আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া, অভ্যন্তরীণ শান্তি স্থাপন, এবং মানুষের জীবন মানের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে।