ফেনীতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেনীতে সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাদেবীকে স্বর্গে বিদায় জানানো হয়েছে। ভক্তরা চোখের জ্বলে বিদায় দিলে প্রিয় মাকে। আর এতেই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে যাত্রা করলেন মা দুর্গাদেবী।
৩০ সেপ্টম্বর শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর শহরতলীর কালিপালের দশমী ঘাট, ছোট ফেনী নদী ও মুহুরী নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে জেলার সবচেয়ে বড় ঘাট হলো দশমী ঘাট।
এ ঘাটেই হাজার হাজার ভক্তের চোখের জলে মাকে বিদায় জানান ভক্তরা। হিন্দু পুরাণ ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার নৌকায় চড়ে মর্ত্যলোকে এসেছিলেন। আজ স্বর্গালোকে বিদায় নিলেন ঘোটকে চড়েই। এর আগে ফেনীর সবকটি মন্দিরে সকাল থেকে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন, নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান।
জেলার সর্ববৃহৎ কালি বাড়ী, জগন্নাথ বাড়ী, গুরুচক্র ও সহদেবপুর এলাকায় মন্দির, বাঁশ পাড়া, জয়কালী মন্দিরন জগন্নাথবাড়ী মন্দির, সুলতান পুরের রক্ষাকালী মন্দির, সহদেব পুরের শ্রী গুরু মন্দির ও রক্ষাকালী মন্দির, সোনাগাজীর পূর্ব চরচান্দিয়া পূজা মন্ডব, তপোবন আশ্রম, ছাগলনাইয়ার রাধাকৃষ্ণ সেবাশ্রম, বিমল পালের বাড়ী, যশোদা বৈদ্য বাড়ি, পরশুরামের মা মাতঙ্গী দেবী মন্দির, সাহাপাড়া দূর্গা মন্দির, শীতলা মায়ের মন্দির, খন্ডল কালী বাড়িসহ জেলা-উপজেলার সব ক’টি পূজা মন্ডপে বেজে উঠে বিদায়ের সুর। এরপর ঢাক-ঢোল বাজিয়ে কালিপাল, দশমী ঘাট, ছোট ফেনী নদীর দিকে ছুটে চলে প্রতিমাবাহী ট্রাকগুলো। মাইকে ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই বেজে উঠে শঙ্খ উলুধ্বনি, বাদ্যের ঘণ্টা। কণ্ঠে ‘জয় দুর্গা মায়ের জয়’ আর চোখে জল নিয়ে একের পর এক বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য জাহানার বেগম সুরমা এমপি, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, জেলা পুলিম সুপার এস এম জাহাঙ্গীর সরকার, জেলা হিন্দু- বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেবনাথ তপন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব গগেশ দত্ত, সুশেন চন্দ্র শীলসহ জেলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার ভক্ত।