গ্রিন টি’র যত গুণ
---
স্বাস্থ্য ডেস্ক : গ্রিন টি-এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে। বলা যায়, ফিগার ঠিক রাখতে এখন অনেকেই গ্রিন টি-র দিকে বেশি ঝুঁকছেন। জাপানি দার্শনিক কাকুসো ওকাকুরা বলেছেন, গ্রিন টি প্রথমে ছিল ওষুধ তারপর হয়েছে পানীয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে দুই কাপের বেশি গ্রিন টি পান করেন তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট।
ওজন কমায় গ্রিন টি
গ্রিন টি হজমসহায়ক। এর পলিফেনল শরীরের ফ্যাট অক্সিডেশন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে খাবার থেকে ক্যালরি তৈরি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। ফলে দেহে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি এক দিনে ৭০ কালরি পর্যন্ত ফ্যাট বার্ন করে। তার মানে নিয়মিত গ্রিন টি পানে বছরে ৫-৮ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
গ্রিন টি শরীরে রক্তের গ্লুকোজ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। খাবার গ্রহণের পরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে, যা প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে গ্রিন টি।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গ্রিন টি শরীরের প্রতিটি শিরায় কাজ করে। ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। তাই কোনো কারণে রক্ত চাপে পরিবর্তন হলেও কোন ধরনের ক্ষতি করে না। তাছাড়া এই চা রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা কমে যায়।
খাদ্যনালীর ক্যান্সার রোধ
গ্রিন টি খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও ভালো কোষগুলোর ক্ষতি না করে ক্যান্সারের কোষ নির্মূল করে থাকে গ্রিন টি।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে
গ্রিন টি শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণও বাড়ায়।
দাঁত ভালো রাখে
গ্রিন টি’র ‘ক্যাটেকাইন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভিতরের বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে, যা গলার ইনফেকশনসহ দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমিয়ে আনে।
রক্তচাপ কমায়
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
অবসাদ দূর করে
প্রাকৃতিকভাবেই ‘থিয়ানিন’ নামের অ্যামাইনো এসিড চা পাতায় পাওয়া যায়। এই উপাদান দুঃশ্চিন্তা ও হতাশা কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এন্টি-ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধী
গ্রিন টি ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রকমের রোগের শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এটা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। চায়ের ক্যাটেকাইন উপাদান অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে বেশ কার্যকর। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অনেক রোগ বিস্তারেও বাধা দেয় গ্রিন টি।
ত্বকের যত্নে
গ্রিন টিতে রয়েছে এক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়ায়। চোখের ফোলা ভাব এবং চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল কমাতে ব্যবহার করা যায় গ্রিন টি। তাছাড়া এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমাতে ও ব্ল্যাক হেডস দূর করতে সাহায্য করে।