কে এই হালিমাহ ইয়াকুব
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক স্পীকার হালিমাহ বিনতি ইয়াকুব। বুধবার দুপুরের দিকে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। তখন তিনি হবেন সিঙ্গাপুরের ৮ম প্রেসিডেন্ট, যিনি ছিলেন ওদেশের ৭ম স্পীকার।
এসব খবর এখন সকলেরই জানা। জানা নেই শুধু, কে এই হালিমাহ ইয়াকুব।
হালিমাহ’র হাঁড়ির খবর নেয়ার আগে আরো দু’একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। যেমন, হালিমাহ ইয়াকুব শুধু সিঙ্গাপুর নামের দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তা-ই নয়, তিনি মালয়ী সম্প্রদায় থেকে দেশটির সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্টও। আরো বলা প্রয়োজন যে, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট পদটি এবার মালয়ী সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত।
হালিমাহ’র জন্ম ১৯৫৪ সালের ২৩ আগস্ট। পিতার দিক থেকে তাঁর শরীরে বইছে ভারতীয় রক্তধারা, মায়ের দিক থেকে মালয়ী। হালিমাহ’র বয়স যখন মাত্র আট বছর, তখন তাঁর পিতা মারা যান। এরপ মা-ই তাঁকে লালনপালন করে বড় করে তোলেন।
হালিমাহ’র স্কুলজীবন কাটে সিঙ্গাপুর গার্লস স্কুল ও তানজং কাতং গার্লস স্কুলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে অধ্যয়ন করেন আইনশাস্ত্র। পান এলএলবি অনার্স ও এলএলএম ডিগ্রি। ২০১৬ সালে দেশটির জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল ডিগ্রি প্রদান করে।
কর্মজীবনের নানা অধ্যায় পার করে ২০০১ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন হালিমাহ এবং শাসক দল পিপল’স অ্যাকশন পার্টির টিকেটে এমপি নির্বাচিত হন। ২০১১ সালের নির্বাচনের পর তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একই সময়ে তাঁকে জুরং নগর পরিষদের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। ২০১৫ সালে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি সিঙ্গাপুর সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন। তিনি দেশটির প্রথম নারী স্পীকার।
গত ৭ আগস্ট হালিমাহ স্পীকার পদ থেকে ইস্তফা দেন। জানিয়ে দেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়বেন। ২৫ আগস্ট তাঁর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। তাঁর নির্বাচনী স্লোগান হয় : ”ডু গুড, ডু টুগেদার”। স্লোগানটি ব্যাকরণসম্মত হয়নি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু সমালোচনা হলে হালিমাহ বলেন, আমার লক্ষ্য মানুষের নজর কাড়া।
রাজনৈতিক দিক থেকে তথাকথিত র্যাডিক্যাল ইসলামের সঙ্গে একমত নন হালিমাহ। আর তাই কট্টরপন্থী আইএসেরও একজন কঠোর সমালোচক তিনি।
হালিমাহ বিয়ে করেন আরব বংশোদ্ভুত মুসলমানকে। তাঁর নাম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলহাবশী। তিনি এখন অবসরজীবন যাপন করছেন। তাদের রয়েছে পাঁচ ছেলেমেয়ে। ঈশুন এলাকায় একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে বাস করেন তাঁরা। ওই বাড়িতে রয়েছে পাঁচ কক্ষের একটি ফ্ল্যাট। এছাড়া মাঝের দেয়াল ভেঙ্গে চার কক্ষের আরো একটি ফ্ল্যাটকে এর সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে।