বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না মিয়ানমার
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :রাখাইনের বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভানশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে বসার ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা নেই মিয়ানমার সরকারের।
রবিবার বিকেলে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ হতে এক টুইটে একথা জানানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার এক বিবৃতিতে আরসা এক মাসের জন্য একতরফা অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে। তাদের যুক্তি, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে তারা এ অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
সংগঠনটি মিয়ানমারকেও মানবিক দিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নির্যাতন না করার কথা বলে।
গত ২৪ আগস্ট রাখাইনে কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার জেরে মিয়ানমানের নিরাপত্তাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নির্যাতন শুরু করে। সেই নির্যাতন ও নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে গত তিন সপ্তাহে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। সীমান্তে অস্থায়ী ক্যাম্পে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
আরসা অস্ত্রবিরতি ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি ছিল মিয়ানমার সরকারের দিকে। অং সান সু চির এই সরকার বিষয়টি কীভাবে দেখছে, সেটি জানার অপেক্ষা করে বিশ্ব গণমাধ্যম।
এ অবস্থায় রবিবার বিকেলে মিয়ানমার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ হতে টুইটে জানান, আরসার সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে তাদের কোনো পরিকল্পনাই নেই।
মিয়ানমারের রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে নারাজ দেশটির সরকার। তাদের ভাষ্য, রোহিঙ্গারা বাঙালি। তারা রাখাইনে বছরের পর বছর অবৈধভাবে বাস করছে। তাই রোহিঙ্গাদের সেখান থেকে তাড়াতে একাধিক বার তাদের ওপর হামলা নির্যাতন চলে। এ নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত চার দশকে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য হয়।