পেঁপের পাতায় ডেঙ্গু নিরাময়
---
স্বাস্থ্য ডেস্ক : এমনিতেই স্বাস্থ্যকর ফল হিসাবে সুপরিচিতি পেঁপে। তারওপর এর আরো একটি গুণ এক দুঃসময়ের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারে। কেবল ফলই নয়, এর পাতাও দারুণ উপকারী। এই পাতা প্লেটলেটের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এতে আছে অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া উপাদান। এ সময়ের মারাত্মক ডেঙ্গু সামলাতে তাই ঘরের কার্যকর পথ্য হিসাবে ভরসা রাখতে পারেন পেঁপের ওপর। এর সম্পর্কে ধারণা নিন এখানে।
১. পেঁপের পাতায় আচে ফেনোলিক কম্পাউন্ড, পাপাইন এবং অ্যালকালয়েড। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শক্তিশালী অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট। এগুলো ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়তে দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। পাপাইন অন্য উপাদানের সঙ্গে মিশে দেহের হজমপক্রিয়াকেও সুষ্ঠু করে তোলে।
২. পেঁপের পাতার নির্যাস ডেঙ্গু রোগীর দেখভালে কাজ করে। আর অন্যদের ডেঙ্গু থেকে দূরে রাখতেও সহায়তা করে। এক গবেষণায় বলা হয়, প্রায় ৪০০ রোগীর দুটো দল করা হয়। এদের একটি দলকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় পেঁপের পাতার নির্যাস থেকে তৈরি ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। দেখা গেছে, তাদের প্লেটলেট বৃদ্ধি পেয়েছে। তা ছাড়া তাদের রক্ত পরিবর্তনেরও দরকার পড়েনি।
৩. অনেক গবেষকের মতে, পেঁপের পাতার জুস ডেঙ্গু জ্বর নিরাময়ের বেশ কাজের একটি পথ্য। এই প্রাণঘাতী রোগ হয় এডিস মশার কামড়ে। এই মশা রক্তে জীবাণু ছড়িয়ে দেয় এবং দারুণ জ্বর আসে। ত্বকে র্যাশ ওঠে আর প্লেটলেট কমে যায়।
৪. ম্যালেরিয়ার জীবাণু সামলানোর উপাদান রয়েছে এত। পেঁপের পাতায় থাকা এই উপাদানটি বেশ শক্তিশালী। তাই ডেঙ্গু সামলাতে এটি দারুণ এক ওষুধের কাজ করতে পারে।
এর ব্যবহার কিন্তু কঠিন পদ্ধতি নয়। ডেঙ্গু যদি হয়েই যায় তবে কিছু পেঁপের পাতা ভালোমতো ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এগুলো ছোট ছোট অংশে কেটে একটি সসপ্যানে ২ লিটার পানির মধ্যে দিন। এবার সেদ্ধ করুন। পানি অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত প্যান ঢেকে দেবেন না। এবার এই তরল ছেঁকে নিন। একটি কাঁচের বোতলে রাখুন। এটা অল্প অল্প করে প্রতিদিন খাবেন।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া