g মিয়ানমারের সহিংসতায় বাংলাদেশে অস্বস্তি বাড়ছে | AmaderBrahmanbaria.Com – আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ইং ১লা আশ্বিন, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারের সহিংসতায় বাংলাদেশে অস্বস্তি বাড়ছে

AmaderBrahmanbaria.COM
আগস্ট ২৮, ২০১৭

---

মিয়ানমারের রাখাইনে শুক্রবারের সশস্ত্র হামলার পর সেখানকার রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ঢুকে পরা ১০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। এদিকে বান্দরবনের নাইক্ষাংছড়ি এবং কক্সবাজারের কুতুপালন, পালংখালি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্যে জড়ো হয়েছে বহু রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গারা বলছে রাখাইনে মিয়ানমারে সামরিক অভিযান অব্যহত রয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রদুত হুমায়ুন কবির বলেন, এই সমস্যাকে আমরা মানবিকভাবে দেখছি। কারন যারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে আমরা তাদের খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। আমরা মানবিক দিক থেকে করছি কিছুটা রাজনৈতিক দিকও আছে। কারণ ঘটনাটি যেহেতু দু দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে উপর প্রভাব বিস্তার করে সেহেতু এটির রাজনৈতিক দিকও আছে।

মিয়ানমারের সরকার ১১ লক্ষ রোহিঙ্গাকেই বলছে বাঙ্গালী। সেদিক থেকে বলা যেতে পারে আধিপত্য বিস্তারের একটা দিক থাকতে পারে। রোহিঙ্গাদের অঞ্চলে যদি সহিংসতা বাড়ে এবং রাখাইনদেরও যদি সহিংসতা বাড়ে তাতে বাংলাদেশের উপরে একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংঙ্কা থাকে।

জাতিসংঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের একটিক রিপোর্টের পর থেকে সেখানকার সংঙ্ঘাত উত্তেজনা আরো বেশি দেখা যাচ্ছে, তাহলে কি মিয়ানমারের ওপর আর্ন্তজাতিক চাপ, যেটি বাংলাদেশ বিভিন্ন সময়ে দিয়ে আসছিলো সেটা কোন কাজেই লাগছে না।

জবাবে তিনি বলেন, কফি আনান তাদের রিপোর্টে এই বিষয়টি কথা উল্লেখ করেছেন এবং তারা বলেছে যে শুধু সামরিক ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে এর সমাধান হবে না। তার সাথে সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করতে হবে এবং ওখানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির অধিকার তাদের অর্থনৈতিক অধিকার তাদের চলাচফেরার অধিকার এবং তাদের রাজনৈতিক অধিকার এগুলো সুনিশ্চিত করলেই তবে এই সমস্যার সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে।

মিয়ানমারের সাময়িকভাবে যদি তাদের পদক্ষেপ অব্যহত রাখে তাহলে বাংলাদেশ বা প্রতিবেশী দেশগুলোতে কেমন প্রভাব পড়বে?

জবাবে তিনি বলেন, আমার যেটা মনে হয় রোহিঙ্গার সমস্যা যেভাবে এগুচ্ছে যেভাবে সেখানে সহিংসতা বাড়ছে, আমরা সহিংসতা মিয়ানমারের সরকারের দিক থেকেও দেখছি আবার অন্যদিক থেকেও মনে করা হচ্ছে সহিংসতা হচ্ছে। বাংলাদেশ অস্বস্তিতে আছে আবার ভারতের দিক থেকে মিয়ানমারের সরকারকে সন্ত্রাস বিরোধী সমর্থনের কথা ঘোষনা করেছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ তারা আইনে শাষন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির সার্বিক সার্থের কথা বিবেচনা করে মিয়ানমার সরকারকে আহব্বান করেছে। আমরা এখানে মিশ্র চেহারা দেখতে পাচ্ছি, তবে যেটা বলা চলে মিশ্রিত ভাবেই সহিংসতা চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ সহ এই অঞ্চলের আশেপাশের দিক গুলোক একটা উদ্ভেগের কারণ হবে।

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

এ জাতীয় আরও খবর