নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে ভেসে গেছে অসংখ্য লোকের ঘরবাড়ি, একই সাথে পানির তলায় ডুবে রয়েছে অসংখ্য ফসলের ক্ষেত। দেশে উৎপাদিত ফসলের একটি বড় অংশ নষ্ট হয়েছে বন্যার পানিতে। স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারে। তাই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, হাতিরপুল বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রায় সকল প্রকার নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। ফলে দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ফলে নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
চলতি সপ্তাহে বাজার ঘুরে দেখা যায় আগের চেয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল। এ সপ্তাহে মিনিকেট মানভেদে ৫৪ থেকে ৬২ টাকা, মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, আটাশ ৪৯ থেকে ৫০, পাইজাম ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্নতমানের চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে বাজারে সবজির দামও আগের তুলনায় বেশি। এ সপ্তাহে প্রতিকেজি সাদা আলু ২২ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ৪০ থেকে ৫০, কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা-কাকরোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কচুরমুখি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, লেবু হালিপ্রতি ১৬ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পালং শাক, লালশাক, পুঁইশাক, লাউশাক ইত্যাদি আঁটিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেয়াজ রসুন ও আদা। দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৮ টাকায়। একইভাবে দেশি রসুন ৯০ থেকে ১০০ এবং আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
চলতি সপ্তাহে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আগের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। সাগরে ব্যাপকহারে ইলিশের ঝাঁক ধরা পড়ার কারণে দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
চলতি সপ্তাহে মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ৯০০ থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আকারভেদে প্রতিকেজি রুই ও কাতলা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, সরপুঁটি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, হাইব্রিড কৈ মাছ ১০০ থেকে ১৩০, কোরাল আকারভেদে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চলতি সপ্তাহে মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাঁসির মাংস ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। এছাড়া, লেয়ার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০, দেশি মুরগি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।