ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে কাতার
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে রয়েছে কাতার। দেশটির তরফ থেকে বলা হয়েছে, কাতারের রাষ্ট্রদূত খুব শিগগিরই তেহরানে ফিরে যাবেন এবং নিজের কাজ শুরু করবেন।
প্রায় ২০ মাসের বেশি সময় ধরে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বিশিষ্ট শিয়া নেতার ফাঁসির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতার মধ্যে রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনে কাতার।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের রাষ্ট্রদূত নিজের দায়িত্ব শুরু করতে আবারও তেহরানে ফিরে যাবেন। ইরানের সঙ্গে সব ক্ষেত্রেই সম্পর্ক দৃঢ় করতে চায় কাতার।
তবে ওই রাষ্ট্রদূতের নাম এবং তিনি কবে নাগাদ তেহরানে ফিরবেন সে বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেইখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান আল থানি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাভেদ জারিফের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
বেশ কয়েক মাস ধরেই কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর এবং বাহরাইন।
কাতার অন্যদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে অনধিকারচর্চা করেছে এবং সন্ত্রাসীদের সমর্থন এবং অর্থ সহায়তা দিয়েছে বলে অভিযোগ এনে আরব দেশগুলো দোহার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে কাতার।
তেহরান ও মাশাহদ শহরে বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে দূতাবাসকে নিরাপদ রাখতে না পারার অভিযোগ এনে তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। ওই ঘটনার পর গত বছরের জানুয়ারিতে তেহরান থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরিয়ে আনে কাতার।
সৌদি আরবে শিয়া নেতা শেইখ নিমর আল নিমরকে ফাঁসি দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। নিমর সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের প্রচারণা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছিল রিয়াদ। সৌদির তরফ থেকে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে নিমরকে ফাঁসি দেয়াটা ন্যায়সঙ্গত ছিল।