‘লোক দেখানো ফটোসেশনের জন্য দুর্গত এলাকায় আসেনি’
---
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা লোক দেখানো ফটো সেশনের জন্য দুর্গত এলাকায় আসেনি। বন্যায় যারা সত্যিকার অর্থে ক্ষতিগ্রস্ত শেখ হাসিনার সরকার তাঁদের সকলকেই পুনর্বাসিত করবে।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গত হাওরে যায়নি। উপদ্রুত উপকূলে যাননি। পাহাড়ে গিয়েছিলেন, কিন্ত সেখানে নাটক করে ফিরে এসেছেন। অথচ যত দোষ নন্দ ঘোষ আওয়ামী লীগের। ওরা আমাদের খালি দোষারোপ করে। আমরাতো খালি হাতে আসেনি। এসেছি ত্রাণ নিয়ে, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সৈয়দপুর স্টেডিয়ামের কাছে বন্যার্তদের ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি। সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় অওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন।
তিনি বিএনপি মহাসচিব ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁকে উদ্দেশ করে বলেন, মৌনতাই সম্মতির লক্ষণ। সুগ্রিম কোর্টের রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ বলা হলেও তিনি এ ব্যাপারে প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানাননি। এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।
বন্যার ভয়াবহ রূপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, স্মরণকালের নজিরবিহীন বন্যায় আমাদের বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বন্যার পরবর্তী সময়ে অনেকেই এসেছেন দুর্গত এলাকায়। তাঁরা ভাষণ দিয়েছেন তালি পাওয়ার আশায়। কিন্ত তাঁদের হাত ছিল খালি। বন্যার্তরা কিছুই পায়নি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তরা পুনর্বাসিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা তাঁদের পাশে থাকবো।
এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী সতীশ চন্দ্র, সাংসদ নাজমুল হক, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্বাস আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বাদল, সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ রহীম, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বজলুর রশীদ প্রমুখ। পরে মন্ত্রী বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।