টাকা ভাগাভাগির বিতণ্ডায় আখাউড়ায় ৩ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ গার্ড আহত
---
তৌহিদুর রহমান নিটল : মালবগিতে মাছের ঝুড়ি বহনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রেলের দুই কর্মচারীর বিতণ্ডা ও মারামারির জেরে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।
বুধবার সকালে আখাউড়া জংশন স্টেশনে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার আবদুল হকের সঙ্গে জালালাবাদ মেইল ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুল্লাহ আল মামুনের বিতণ্ডা এবং এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপওা চৌকি পুলিশ সূএে জানা যায়, সকালে জালালাবাদ ট্রেনে মালের বগিতে অনেক গুলি ছোট ছোট মাছের ঝুড়ি, বোল ছিল। রেলওয়ে ষ্ট্রেশনের দায়িত্বরত নিরাপওা পুলিশ আব্দুর সাওার সেগুলোকে নামাতে বলে নতুবা নিয়ম অনুযায়ী টিকেট কাটতে বললে ট্রেনটির গার্ড আব্দুল্লাহ মামুন বলেন আমি বুঝব বিষয়টি। এ নিয়ে তাদের মর্ধ্যে কথাকাটি হয়। পরবর্তীতে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ার আগ মূহূর্তে ব্যাপারি ভুলবুঝা-বুঝিছিল এই কথাটি বলতে যায় সিনিয়ার চৌকি পুলিশ আব্দুল হক। তখন ট্রেনটির (গার্ড) তাকে কিছু বুঝার আগেই লাথি মারলে আব্দুল হক তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে (গার্ড)হাতে আঘাত পায়।
এ ঘটনায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী জালালাবাদ মেইল ট্রেনটি সকাল সাতটা থেকে ১০টা পর্যন্ত আখাউড়া জংশন স্টেশনে আটকা পড়ে।
এছাড়া এ ঘটনার খবর বিভিন্ন ট্রেনের পরিচালকদের (গার্ড) কাছে পৌঁছালে আশেপাশের কয়েকটি স্টেশনে গাড়ির গার্ডের মর্ধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বলে রেল সূত্রে জানা যায়।
আখাউড়া জংশন স্টেশন সুপার খলিলুর রহমান জানান, জালালাবাদ ট্রেনের মালবগিতে মাছের ঝুড়ি বহন ও ভাড়া নিয়ে ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার আবদুল হক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।ট্রেনটি সকাল সোয়া সাতটা থেকে ১০টা পর্যন্ত ষ্ট্রেশনে অবস্হান করেছে। স্বাভাবিক ভাবে সর্ব্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ অবস্হান করে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে যে দোষী হবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপওা বাহিনীর (ওসি)চৌকি পাটোয়ারি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।