সরেই দাঁড়ালেন কুম্বলে
---
স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে অনিল কুম্বলের চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু গত এক বছরে যে কোচ কেবল সাফল্যই এনে দিয়েছেন, তাঁর চুক্তির মেয়াদ না বাড়ার কোনো কারণ ছিল না। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড নতুন করে কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়াতেই অনিশ্চয়তার শুরু।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ঠিক আগে দিয়েই চাউর হলো অধিনায়ক বিরাট কোহলিসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র খেলোয়াড়ের সঙ্গে কুম্বলের মানসিক ব্যবধান। ধোঁয়াশা তৈরি হলো তাঁর মেয়াদ বাড়ার ব্যাপারটি নিয়ে। কিন্তু সব অনিশ্চয়তার অবসান ঘটালেন কুম্বলে নিজেই। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ দিন আগেই কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর দেশেও ফেরেনি ভারতীয় দল। পাঁচ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আজ সকালে ইংল্যান্ড থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিমান ধরেছে ভারতীয় দল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, দলের সঙ্গে ছিলেন না কুম্বলে। এ নিয়ে নানা গুঞ্জনও তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনটাই সত্যি হলো।
ভারতের নতুন কোচ হতে আবেদন করেছেন বীরেন্দর শেবাগ, টম মুডি, রিচার্ড পাইবাস, ডোড্ডা গণেশ ও লালচাঁদ রাজপুত। শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলি ও ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে বিসিসিআইয়ের তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি নির্বাচন করবেন নতুন কোচ।
কুম্বলের অধীনে দেশের মাঠে ১৩ টেস্টের ১০ টিতেই জিতেছে ভারত। দুটিতে ড্র। হেরেছে মাত্র একটি। এই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠেও টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত। শুধু টেস্ট নয়, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কুম্বলে।
ভারতের কোচ হিসেবে সাবেক এই লেগ স্পিনারের অধ্যায়টা আসলে শেষ হয়ে গেছে অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অনুশীলনে নাকি দুজনের কথাবার্তা হতো না বললেই চলে। প্রধান কোচ বেশির ভাগ সময় বোলারদের নিয়ে কাজ করতেন।
কুম্বলের মেয়াদ যেন আর না বাড়ানো হয়, এ ব্যাপারে বোর্ড ও উপদেষ্টা কমিটির কাছে দেনদরবারও করেছেন কোহলি। দ্বন্দ্বের শুরুটা গত মার্চে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের সময় থেকেই। রাঁচিতে কুলদীপ যাদবকে খেলানো নিয়েই শুরু সেই দ্বন্দ্বের। কুলদীপকে সে টেস্টে খেলানোর ইচ্ছা থাকলেও কোহলি তাতে সাঁয় দেননি। ধর্মশালার শেষ টেস্টটা কাঁধের সমস্যার কারণে কোহলি খেলতে পারেননি। ভারতীয় অধিনায়ককে কিছু না জানিয়ে সেই ম্যাচে কুলদীপকে খেলান কুম্বলে। কুম্বলের ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ মনোভাবকে পছন্দ করেননি কোহলি। সূত্র : এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।