ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাদুকা তৈরী কারিগররা শেষ সময়ে মহাব্যস্ত
---
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রাত-দিন কাজ করছে ব্রাক্ষনবাড়িয়ার পাদুকা কারিগররা আর এতে করে জমজমাট হয়ে উঠেছে এখানকার পাদুকা বাজার। এ শিল্পে নিয়োজিত এখানকার প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক রয়েছে। আর জেলার বেশির ভাগ কারখানায় এখন দিন-রাত মহা ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। অনেকটাই যেন নিদ্রা হারা হয়ে পড়েছেন অনেক কারিগররা। সারাবছরের বিশেষ এই সময়ে বাজারে অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে কারিগরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। মালের গুনগতমান ও টেকসই ভাল হওয়ায় ব্রাহ্মনবাড়িয়ার পাদুকা নিজস্ব স্বকিয়তা লাভ করেছে সারাদেশে। পাদুকা শিল্পীদের মতে, ঈদে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী জুতা সরবরাহ করার মাধ্যমে তারাও ভাগ করে নিতে চায় ঈদের আনন্দ। স্বাধীনতার পরপরই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্পের যাত্রা শুরু। ক্রমান্বয়ে জেলা সদরের গন্ডি পেরিয়ে সবকটি উপজেলায় তা ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে ছোট-বড় অন্তত ৩ শতাধিক পাদুকা তৈরীর কারখানায় রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করছে প্রায় দশ সহস্রাধিক শ্রমিক। ঈদকে সামনে রেখে একেবারে শেষ সময়ে প্রতিদিন প্রায় চার/পাচঁ হাজার জোড়া পাদুকা উৎপাদিত হচ্ছে এখানে গড়ে। উৎপাদিত জুতা তাৎক্ষনিক ডেলিভারী দেয়া হচ্ছে পাইকারদের কাছে। কুমিল্লা, সিলেট, নোয়াখালী, চট্রগ্রাম, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা নিয়ে যাচ্ছে এসব পাদুকা । বাহারি ডিজাইন, গুনগত মান এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় দারুন চাহিদা এখানকার পাদুকার। আর সুনাম ছড়িয়েছে সূদুর বিদেশেও। প্রতি বছর রমজানের শুরু থেকেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। এ সময়ে উৎপাদনও কয়েকগুন বেড়ে যায় ।
সরকারী পৃষ্ঠাপোষকতা পেলে এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌছে দেয়া সম্ভব বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাদুকা শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি, কাজী শফি উদ্দিন।