মেয়ে মুক্তির রাগ মা আনোয়ারার ওপর!
---
বিনোদন প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৫৬ বছরের অভিনয় জীবনে আনোয়ারা অভিনয় করেছেন প্রায় সাড়ে ছয়শটিরও বেশি চলচ্চিত্রে। শুরুতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে অভিষেক হলেও পরবর্তীতে নায়িকা এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছেন তিনি।
সুচিত্রা সেন ও সুচন্দা’কে ভেবে লেখা ‘শুভদা’ চলচ্চিত্রের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়া ‘দেবদাস’ ছবির চন্দ্রমুখী ও ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’র আলেয়া ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে নায়ক ফারুকের চাচী চরিত্রে জনপ্রিয় ছবি ‘নয়নমণি’তে অভিনয় করেন। এরপর প্রায় ৪০ বছর দেশের সব তারকারই মা-দাদী-নানীর চরিত্রে অভিনয় করে সফল হয়েছেন তিনি। আর এখানেই আপত্তি তার মেয়ে মুক্তির।
‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘হাছন রাজা’ ও ‘চাঁদের আলো’খ্যত নায়িকা মুক্তির ভাষায়, ‘মাকে ছোটবেলা থেকেই দেখেছি চরিত্রের প্রয়োজনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখাতে। যেমন শাবানা আন্টি এবং মা দীর্ঘদিন ধরেই বান্ধবী ছিলেন। অথচ একটা সময় শাবানা আন্টিরও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন মা। এ নিয়ে খুব রাগ করতাম। অবশ্য মা বলতেন- একজন অভিনেত্রীর কাজ অভিনয় করা। চরিত্রের খাতিরে সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করতে রাজি তিনি।’
এদিকে মুক্তির নতুন চাওয়া তার মা অভিনীত ‘শুভদা’, ‘দেবদাস’, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ ছবিগুলোর রিমেকে অভিনয় করতে।
সম্প্রতি ঈদের জন্য মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ পর্বে অতিথি হয়ে এসেছেন মা-মেয়ে আনোয়ারা ও মুক্তি। বন্ধুর মত সম্পর্ক মা-মেয়ের। দুই ঘন্টার আড্ডায় জীবনের অনেক জানা-অজানা কথাই দর্শকদের সামনে নিয়ে এসেছেন তারা। এই বিশেষ পর্বটি প্রচার হবে ঈদের ৩য় দিন, সকাল ৭টা থেকে ৯টা, মাছরাঙা টেলিভিশনে। রুম্মান রশীদ খান ও জিয়নের উপস্থানায় রাঙা সকাল প্রযোজনা করেছেন রকিবুল আলম ও জোবায়ের ইকবাল।