মঙ্গলবার, ৬ই জুন, ২০১৭ ইং ২৩শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা জব্দ

AmaderBrahmanbaria.COM
জুন ৪, ২০১৭

---

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় আপন জুয়েলার্সের সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দ করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। রবিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুমে অভিযান চালিয়ে এসব সোনা ও হীরা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান জানান, রবিবার সকাল থেকে গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান অ্যাভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সোনা জব্দের কার্যক্রম শুরু হয়।

তিনি আরও জানান, এর আগে এই পাঁচটি শোরুমে শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযান চালায়। তখন এই সাড়ে ১৩ মণ সোনা ও সোনার অলংকার এবং ৪২৭ গ্রাম হীরার বৈধ কাগজপত্র চাইলে মালিকেরা তা দেখাতে পারেননি। এগুলোর মূল্য প্রায় আড়াই শ কোটি টাকা। এরপর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার দুই ভাইকে কাকরাইলের কার্যালয়ে তলব করা হয়। দুই দফায় তারা সশরীরে হাজির হলেও বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

মইনুল খান বলেন, সর্বশেষ গত ৩০ মে অধিদপ্তরে যে কাগজপত্র তারা পাঠিয়েছিলেন, তা-ও বৈধ নয়। এ কারণে এই পাঁচটি শোরুমের স্বর্ণালংকার জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয় অধিদপ্তর। তবে আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের দেয়া ১৮২ জনের তালিকার মধ্যে ৮৫ জন গ্রাহককে মেরামতের জন্য তাদের জমা দেয়া প্রায় ২.৩ কেজি স্বর্ণালংকার অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত সোনা ও হীরা ঢাকা কাস্টম হাউসের শুল্ক গুদামের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হবে। এরপর আইন অনুযায়ী তা নিষ্পত্তি করা হবে। এখন জব্দ তালিকা তৈরি হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত আছেন।

উল্লেখ্য, আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত ও তার বন্ধুরা গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকে নিয়ে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে অভিযোগ তুলে গত ৬ মে থানায় মামলা হয়।

এই মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও তার দেহরক্ষী রহমত আলী। এদের মধ্যে সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দুই ছাত্রীর। বাকিরা তাদের সহযোগিতা করেন বলে মামলায় বলা হয়।

সাফাতসহ পাঁচ আসামিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাফাত ও নাঈম ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার প্রধান আসামি শাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তার প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৩ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা জব্দের সিদ্ধান্ত নেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

এ জাতীয় আরও খবর