ঘূর্ণিঝড় মোরার ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণসামগ্রী পায়নি
---
নিজস্ব প্রতিবেদক : উখিয়া উপ-জেলা পালংখালী ইউনিয়ন এলাকাতে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী পায়নি। অসহায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরজমিনে ঘূর্ণিঝড় মোরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পালংখালী ইউনিয়নের প্রায় ১৫/১৭ হাজারের মতো বাড়ির মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার বাড়ি ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ওয়ার্ডগুলো হল, ১নং ওয়ার্ডের, তালিপাড়া, জুমের ছড়া পশ্চিম পাড়া, পূর্ব পাড়া, উখিয়ার ঘাট ২নং ওয়ার্ডের, ধামনখালী, বালুখালী ছড়া, দক্ষিণ পাড়া ও বানুরখিল। এর মধ্যে কানজর পাড়া বেশ কিছু মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষগুলি, বাড়িঘর হারিয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক লোকজনের জমা রাখা চাল, ধান, লবনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হারিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সেন্টমাটিনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী দিয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আব্দুর রহমান বদি নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইউনিয়নে নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করলেও পালংখালী ইউনিয়নের বৃহত্তর বালুখালী ১নং ও ২নং ওয়ার্ড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা কোনো সহযোগিতা পায়নি।
ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, আমাদের ঘরবাড়িসহ অনেক প্রয়োজনীয় আসবাপত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছি না, কোন নেতা বা সংগঠন থেকে কোনোরকম সহযোগিতা পাইনি। শোনেছি অন্যান্য ইউনিয়নের লোকেরা পেয়েছে কিন্তু আমরা কোন ত্রাণসামগ্রী পাইনি। আমরা সরকারে প্রতি আহ্বান জানাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন আমাদের সহযোগিতা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১নং ও ২নং ওয়ার্ড়ের গ্রামগুলিতে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হওয়া পরিবারের লোকজনদের কাছে এখনো কোন সরকারি ত্রাণ ও পুর্নবাসন করা হচ্ছে না।