যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক সাবমেরিনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা
---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিনগুলোর নিয়ন্ত্রণ হ্যাকাররা নিয়ে নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব সাবমেরিন একবার হ্যাকারদের কবলে পড়লে তা বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের মুখে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। ব্রিটিশ আমেরিকান সিকিউরিটি ইনফরমেশন কাউন্সিল (বেসিক) নামের একটি প্রতিষ্ঠান এ শঙ্কা প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
পারমাণবিক সাবমেরিনগুলো তাদের অধিকাংশ সময় সাগরেই কাটায়। সাগরের ঠিক কোথায় জাহাজ অবস্থান করছে এ ব্যাপারে খুব কম সংখ্যক ক্রুই জানে। এমনকি সাবমেরিনগুলোর সঙ্গে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এগুলোর অবস্থান চিহ্নিত করাও মুশকিল। এমনকি এগুলো হ্যাক করাও কঠিন। তবে সাবমেরিনগুলো যখন বন্দরে থাকে এবং এগুলোর সংস্কার কাজ করানো হয়, তখন এগুলোর মধ্যে ভাইরাসযুক্ত সফটওয়্যার ইনস্টল করা সম্ভব। এই ভাইরাসগুলো সুপ্ত অবস্থায় থাকবে এবং দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় এগুলো কার্যকর করা সম্ভব। এর ফলে এ পদ্ধতিতে যুক্তরাজ্যের শত্রু দেশ যুদ্ধকালে সাবমেরিনে থাকা পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিস্ক্রিয় করতে সক্ষম হবে।
৩৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বেসিক সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় হ্যাকাররা হস্তক্ষেপ করতে সক্ষম হলে যুদ্ধকালে সাবমেরিনের অভিযান নিস্ক্রিয় করা সম্ভব। এছাড়া এর মাধ্যমে প্রাণহানি, পরাজয়, এমনকি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পারমাণবিক অস্ত্র বিনিময়ের মতো বিপর্যয়কর ঘটনাও ঘটতে পারে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, একা কাজ করে এমন হ্যাকার কিংবা সাধারণ সাইবার অপরাধীরা এ কাজ করতে পারবে না। বরং শত্রু কোনো রাষ্ট্রই এ কাজ করতে পারবে।
গত মাসের শুরুতে ওয়ানাক্রাইয়ের সাইবার আক্রমণের উদহারণ টেনে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেস ব্রাউন বলেছেন, পারমাণবিক সাবমেরিন হ্যাকিংয়ের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেওয়া উচিৎ।
চলতি মাসের মাঝামাঝি বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশের দুই লাখেরও বেশি কম্পিউটার অচল করে দিয়েছে ‘ওয়ানাক্রাই’ নামের নতুন একটি র্যানসমওয়্যার। এই সাইবার হামলাকারীরা ফাইল ফিরে পেতে বিটকয়েনের মাধ্যমে ৩০০ ডলার দাবি করে। তিনদিনের মধ্যে না দিলে পরিমাণ দ্বিগুণ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়৷ আর সাতদিনের মধ্যে অর্থ না পেলে ফাইল মুছে দেয়া হবে বলে জানানো হয়৷