বাঞ্ছারামপুরে মিষ্টি উৎপাদনকারীরা লোকসানের মুখে
ফয়সল আহমেদ খান ,বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২২টি গ্রামে বিভিন্ন মিষ্টি ব্যবসায়িরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। উৎপাদন খরচের পাশাপাশি কারিগরদের মজুরি ও দোকানের ভাড়া বেড়ে যাওয়ার কারণেও তারা লাভ গুণতে পারছেন না। ফলে তারা অন্য ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। বাপ-দাদার ঐতিহ্য বজায় রাখতেই কেবল তারা মিষ্টি ব্যবসা আঁকড়ে ধরে আছেন। বাঞ্ছারামপুর পৌরশহরে অবস্থিত একাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ি এ তথ্য জানিয়েছেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে , বাঞ্ছারামপুর শহরের মিষ্টির দোকান গুলোতে ছানামুখি, জীলাপী রসমলাই ও দধিসহ প্রায় ১২ রকমের মিষ্টি তৈরি হয়। বাঞ্ছারামপুর সদর পৌর শহরের লালমোহন,মাতৃভান্ডার,ঝুমুর,মন্টুশার মিষ্টি প্রভৃতি মিষ্টির দোকান গড়ে দৈনিক অন্তত ২ থেকে ৩ মণ মিষ্টি তৈরি করে।
পুরনো মিষ্টি ব্যবসায়ী লালমোহন মিষ্টান্ন ভান্ডারের কর্নধার লাল মোহন (লালু) জানান, আগের তুলনায় দুধের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। তবে সেই তুলনায় বিক্রি তেমন বাড়েনি। ফলে তাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
উপজেলার আমেনা প্লাজা-বাবু মার্কেট স্পটের ঝুমুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের সত্বাধিকারি মন্টু রনজন সাহা বলেন, ‘আজ থেকে ১০/১২ বছর আগে প্রতি কেজি দুধের দাম ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। সেই সময় প্রতি কেজি মিষ্টির দাম ছিল ৬০/৭০ টাকা। এখন আমরা প্রতি কেজি মিষ্টি বিক্রি করছি ১৫০ টাকা দরে। কিন্তু এখন দুধের দাম কেজি প্রতি প্রায় পাঁচ গুণ (প্রতি কেজি ৭০ থেকে ১০০ টাকা) বেড়েছে।’
জানা গেছে,বৈশাখ মাসের হালখাতার পরপরই সব কারিগরদের বেতন বাড়াতে হয়। সে হিসেবে নতুন বছর এলেই আমাদের মাসিক খরচ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেড়ে যায়। তাছাড়া আগের দিনের মতো দেশী গাভীর দুধ আমরা পাওয়া যায় না।তারা জার্সি জাতের গাভীর দুধ সংগ্রহ করে সরবরাহ করা হয়। এসব দুধে ছানা কম হয়। মিষ্টির ওজনও হয় হালকা। ফলে আমরা পোষাতে পারিনা।