মঙ্গলবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ১২ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে নেই কোনো বিনোদন স্পট। বন্ধ হয়ে গেছে ২টি সিনেমা হল

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ২২, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান,বাঞ্ছারাপমপুর থেকে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের পুরো উপজেলায় প্রায় ৪ লাখ মানুষ ও একটি পৌরসভা থাকা সত্বেও সরকারি/বেসরকারি উল্লেখযোগ্য কোনো বিনোদন স্পট বা সিনেমা হল নেই।যা ছিলো তা আজ সবই প্রায় স্থৃতি।তারউপর,পর-পর ২টি চালু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সিনেমাপ্রেমীরা বিনোদনের জন্য কোন স্পট খুজে না পাওয়ার কারনে হতাশা ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে।অথচ,পৌরসভা গঠনে অন্যতম কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট পৌরবাসীর চিত্ত বিনোদনের নির্দিষ্ট জায়গা করে দিতে হবে যেনো শিশু-নারী-পুরুষ আনন্দ-বিনোদন উপভোগ করতে পারে।
ভিন্নদিকে,কর্মব্যস্ত-কোলাহল-মানসিক প্রশান্তির জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞান স্পষ্টত উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিটি মানুষের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২-৩ ঘন্টা চিত্ত-বিনোদনের মধ্যে কাটালে তার শারিরীক-মানসিকভাবে ভালো থাকে।বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জনগন বিনোদনের জন্য যেতে হয় ১২ কি:মি:দূরের পাশ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার হোমনার মুন সিনেমা হল কিংবা রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে।বিনোদনের অন্যতম উপাদান সিনেমা হল না থাকার কারনে স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে খোলা আকাশ প্রযুক্তির দিকে ঝুকে ভিন্নদেশীয় সংস্কৃতি হিন্দী,ভারতীয় বাংলা বা ইংরেজী ছবি দেখছেন ডিশ বা মোবাইলে।এতে লাভবান হচ্ছেন অন্যান্য দেশের সিনেমা সংম্লিষ্টরা।দর্শক চাহিদা পূরনের ‘সিনেমা হল’সংকটের কারনে মার খাচ্ছে বাংলাদেশী সিনেমা সংশ্লিষ্টগন।
আর বিটিভি বা বিভিন্ন বাংলার বেসরকারি চ্যানেলে দীর্ঘ বিজ্ঞাপন বিরতিতে অতীষ্ঠ হয়ে সিনেমা দেখা ছেড়ে দিয়েছে এলাকার জনগন।
কথা বলে ও খোজ নিয়ে জানা গেছে,-সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে দূর্দান্ত জনপ্রিয় ছায়াছবির অন্যতম প্রেক্ষাগৃহ  হিসেবে পরিচিত ‘সূর্য্যমুখী সিনেমা হল’টির মালিক মরহুম রেজায়ে রব্বানী তৎকালীন সময়ে শারিরীক অসুস্থ্যতা ও ব্যবসা পরিবর্তনের কারনে ৯০ দশকে এবং উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামে  ২ হাজার সালে লোকসানের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দেয়ার পর,চিত্ত-বিনোদনের জন্য স্থানীয়দের আর কোন সিনেমা হল গড়ে উঠেনি।
বাঞ্ছারামপুর পৌরসভার মেয়র খলিলুর রহমান টিপু মোল্লা বিনোদন ও সিনেমা হলের সংকট প্রসঙ্গে বলেন,‘সরকারি/বেসরকারি উদ্যোক্তার অভাবে বিনোদন খাতে কেউ পুঁজিও লগ্নি করছে না।খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করবো আমার মেয়াদে এই পৌরসভায় একটা বিনোদনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা যায় কি-না।
ব্র্র্র্র্র্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়নের রুপকারখ্যাত ৩ বারের নির্বাচিত এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যা.এবি তাজুল ইসলাম (অব.) সিনেমা হল ও চিত্তবিনোদনের প্রসঙ্গে বলেন,-‘ব্যক্তিগতভাবে আমি গানের ভক্ত ও সংস্কৃতি আমার মজ্জায়।সারা দেশে একের পর এক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।তবে,আশার কথা এই যে স্বাধীনতা, মুক্ত বুদ্ধি-সংস্কৃতি চর্চ্চায় এই সরকার বিনোদনের জন্য বিশাল বাজেট প্রতি বছরই বরাদ্ধ রাখে।শিল্প-সংস্কৃতি উন্নয়নে সরকার বদ্ধ পরিকর। এখন আমার নির্বাচনী এলাকাটি সার্বিক দিক থেকে আধুনিক শহর।প্রযুক্তির দিক থেকে আমাদের ডিজিটাল বাঞ্ছারামপুর।বাঞ্ছারামপুরে নির্দিষ্ট একটি বিনোদন কেন্দ্রের জন্য আমি সংস্কৃতিমন্ত্রীর সাথে বিনোদনের উন্নয়নের জন্য কি করা যায় তা নিয়ে শীঘ্রই কথা বলবো।’’