মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান দ্বিগুণ বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) মহাপরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছি আমরা। গত এক মাসে অধিদপ্তরের সামগ্রিক পরিকল্পনা এবং কাজে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক উদ্ধারের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ‘
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৮ মার্চ ডিএনসির নতুন মহাপরিচালক হিসেবে যোগদানের পর আজই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গত মার্চ মাসের সঙ্গে ২০১৬ সালের মার্চ মাসের মাদকদ্রব্য উদ্ধারের একটি বিবরণমূলক চিত্রও উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন মাহমুদ আরো বলেন, ‘এই অধিদপ্তরের সকলকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। গত এক মাসে সাতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে। সম্প্রতি ধানমণ্ডি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে গডফাদার আফসার আলীকে ধরা হয়েছে। ‘
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসি মহাপরিচালক বলেন, ‘টেকনাফের মিয়ানমার সীমান্তের ২৫টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঢুকছে। সেখানে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা অভিযান চালাই। ‘
মাদকের বড় চালান উদ্ধারে আমাদের সাফল্য নেই। তবে গোয়েন্দা তথ্য প্রদানের কাজ আমরাই করছি। টেকনাফ এলাকায় বিশেষ জোন গঠন করে অভিযান চালানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি পরিচালক (অপারেশন ও গোয়েন্দা) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত মার্চ মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ৬৬ হাজার ১৮১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। গত বছরের মার্চ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৫৫৯। সব সংস্থা মিলে গত মার্চ মাসে ৩৫ লাখ ১৬ হাজার ৬১৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। গত বছরের মার্চ মাসে এই সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৪০ হাজার ৪৬২ পিস। মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা একসঙ্গে চলে। গত এক মাসে আমাদের নিরস্ত্র সদস্যরা যশোর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যর সঙ্গে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে। এসব কিছু থেকে বুঝা যায় আমাদের অভিযানের গতি বেগবান হয়েছে। ‘
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসি পরিচালক (নিরোধ শিক্ষা) কে এম তারিকুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাস সিকদার, ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের উপপরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।