শনিবার, ২২শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৯ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

নিদ্রাহীনতায় এক গ্লাস দুধই যথেষ্ট

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ১৯, ২০১৭
অনলাইন ডেস্ক : পুষ্টির অন্যতম একটি উৎস হলো দুধ। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রোটিন থাকায় স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারি। নিয়ম করে প্রতিদিন একগ্লাস দুধ পান করলে আমাদের শরীর নানা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হয়ে ওঠে। শরীর হয় সুঠাম ও কর্মক্ষম। আসুন জেনে নেয়া যাক দুধের আরো কিছু উপকারিতা সম্পর্কে-
নিদ্রাহীনতায় অব্যর্থ টনিক
রাতে অনেকের ঘুম হয় না কিংবা ঘুমাতে দেরী হয়। এ জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে রাতের বেলা একগ্লাস দুধ পান টনিকের মতো কাজ করে। গবেষকরা বলছেন, এক গ্লাস গরম দুধ আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে। তবে তা হওয়া চাই ‘গরুর’ খাঁটি দুধ।  দুধে রয়েছে ট্রিপটোফান ও মেলাটোনিন যা সব রকমের মানসিক অস্থিরতা দূর করতে সাহায্য করে। কোরিয়ার একদল বিজ্ঞানী গবেষণায় দেখেছেন, খাঁটি দুধ নিদ্রাহীনতায় বেশি কার্যকরী। তবে খাঁটি দুধে চারভাগের একভাগ পানি মিশিয়ে গরম করে পান করলে ১০ মিনিটের মধ্যেই ঘুম চলে আসতে পারে।
সুস্থ হাড় গঠন
প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকায় সুস্থ হাড় গঠনে সাহায্য করে দুধ। তাই শুধু বাড়ন্ত শিশুরাই নয় বরং প্রাপ্ত বয়স্করাও দেহের হাড় মজবুত রাখতে প্রতিদিন দুধ পান করতে পারেন। এছাড়া দুধ পান করার ফলে শরীর নানা ধরনের হাড়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে।
সুস্থ দাঁত গঠনে
দুধ আমাদের সুস্থ দাঁতের জন্যও জরুরি। দুধ দাঁতের ক্যাভিটি প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে রয়েছে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম যা বাচ্চার দাঁতের গঠনে সাহায্য করে। তাই শুধু বাচ্চারা নয় সুস্থ দাঁত পেতে ছোট বড় সবার দুধ পান করা দরকার।
মাংসপেশি গঠন করে দুধ
দুধের পুষ্টি উপাদান শরীরের মাংসপেশি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে বাচ্চাদের শরীরের সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক গড়ন নিশ্চিত করতে দুধ পানের কোন বিকল্প হয়না। তাছাড়া ব্যায়াম শেষে দুধ খেলে শরীরের মাংসপেশি আরো সুগঠিত হয়।নিদ্রাহীনতায় এক গ্লাস দুধই যথেষ্ট

মানসিক অবসাদ দূর করতে
সারাদিনের ক্লান্তি আর মানসিক অবসাদ দূর করতে একগ্লাস দুধের কোন বিকল্প হয়না। গরম একগ্লাস দুধ মাংসপেশি ও নার্ভ শান্ত করে এবং কর্মশক্তি বাড়ায়। বিষন্নতা কাটাতেও এক গ্লাস দুধ যাদুর মতো কাজ করে।
ত্বক উজ্জ্বল করে দুধ
ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় রাখতে প্রতিদিন গ্লাস দুধ পান করতে পারেন। দুধের নিউট্রিয়েন্স ও ল্যাক্টিক অ্যাসিড উপাদান ত্বক নরম রাখে, এর অ্যামিনো অ্যাসিড ত্বক সতেজ করে ও দুধের প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান ত্বকের ক্ষয় রোধ করে।
১০০ গ্রাম দুধে রয়েছে:
প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর দুধে থাকে প্রোটিন ৩.৩ গ্রাম, চর্বি ৩.৪ গ্রাম, শর্করা ৪.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ০.২ মিগ্রা, আয়রন ২.০ মিগ্রা, খাদ্যশক্তি ৭১ কিলোক্যালরি। সূত্র: বোল্ড স্কাই ও গার্ডিয়ান