সাবধান ! চারপাশে প্রতারক
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারণা সবসময় ছিল। হয়তো থাকবেও। তাই প্রতারকদের বাঁচতে হওয়া চাই সাবধান। আর এ জন্য জানতে হবে তাদের অপকৌশলগুলো। তাহলেই তারা আর আপনাকে ফাঁদে ফেলতে পারবে না। ভাবতে পারেন, প্রতারকরা এখন তাদের অপকর্মে প্রযুক্তিকেও কাজে লাগাচ্ছে!
এবার জেনে নিন প্রতারকদের কয়েকটি কৌশল, জানিয়ে দিন অন্যদেরও। জানা থাকলে ওদের হাত থেকে বাঁচতে পারা যাবে সহজেই।
সোহেল হোসেন একটি অনলাইন শপিং সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান। গত ৪ এপ্রিল ওই অনলাইন প্রতিষ্ঠানে একটি ফোন আসে কিছু চাদর চেয়ে। সোহেল ওই চাদর নিয়ে গুলশানের নিকেতন এলাকায় গিয়ে ওই নম্বরে ফোন দিয়ে জানতে চান কোথায় যেতে হবে। তাকে পুলিশ প্লাজার সামনে দাঁড়াতে বলা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর মোটরসাইকেলে এক যুবক এসে তার কাছ থেকে চাদরের ব্যাগটি মোটরসাইকেলে বেঁধে নেয়। সোহেল বলেন, লোকটি তাকে টাকা দেবে মনে হচ্ছিল। সে মানিব্যাগেও হাত দিচ্ছিল, কিন্তু এরই মধ্যে মোটরসাইকেল চালিয়ে সে লাপাত্তা।
সোহেল আরো জানান, কয়েক দিন আগে তার এক সহকর্মীর সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে।
এবার দ্বিতীয় ঘটনা। বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রতারণা হচ্ছে অনলাইন ব্যাংকিং সার্ভিসে। সম্প্রতি রাজধানীর পল্টনের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ হাজার টাকা পাঠান এক ব্যক্তি। পাঠানোর চার্জও দেয়া হয়। একটু পরই যে নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে, সেই নম্বরে ফোন করে বলা হয়, ভুল করে টাকা বেশি গেছে। ৫০০ টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জানান, সম্প্রতি তার মোবাইলের অনলাইন সার্ভিসে ১০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। একটু পরই তার মোবাইলে অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন আসে, ‘ভুলে তিনি ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন।’ তার অনলাইনে কত টাকা আছে তা চেক না করেই তিনি ওই প্রতারকের কথামতো ১০ হাজার টাকা ট্রান্সফার করেন। সাইফুল জানান, এভাবে তিনি প্রতারণার শিকার হবেন ভাবতেও পারেননি।
তৃতীয় ঘটনাটি এরকম – আজাদ নামের এক ব্যাংকারকে সম্প্রতি একটি নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয়, তার ফোন নম্বরটি রিসেট করা হচ্ছে। কোম্পানির সার্ভারের সমস্যার কারণে এটা করতে হচ্ছে; যে কারণে তার মোবাইল নম্বরটি ২০ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখতে বলা হয়। সরল বিশ্বাসে তিনি তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রাখেন। এরই মধ্যে তার আত্মীয়স্বজনের কাছে ফোন করে বলা হয়, আজাদ অ্যাক্সিডেন্ট করেছেন। তাকে এখনি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। ভর্তি করতে ১০ হাজার টাকা লাগবে। এভাবে তার আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় টাকা। আজাদ ফোন নম্বর অন করার পরপরই এসব কথা জানতে পারেন। আর ততক্ষণে প্রতারকদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ।