অধিকাংশ বাসে নেওয়া হচ্ছে আগের ভাড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর গণপরিবহনে নতুন নিয়ম চালুর দ্বিতীয় দিনেও অধিকাংশ বাসে ভাড়া নেওয়া হয়েছে আগের মতোই। এ ছাড়া রোববারের মত সোমবারও গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, প্রেসক্লাব, মৎস্যভবন, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বাংলামোটরসহ কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং অনেকে বাস না পেয়ে হেঁটে ও বিকল্প ব্যবস্থায় গন্তব্যে যাচ্ছেন।
গণপরিবহন সংকট হিসেবে বাসের ড্রাইভার ও হেলপাররা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলার কারণেই মালিকরা রাস্তায় কম গাড়ি নামিয়েছেন।
আলিফ পরিবহনে আগারগাঁও থেকে মহাখালী পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা নেওয়া হতো, আজও তাই নেওয়া হচ্ছে। অথচ ৫ কিলোমিটার পথের ভাড়া হওয়ার কথা ৮ টাকা ৫০ পয়সা। এ ভাড়ায় যেতে রাজি না হলে বাসে উঠতেই দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
এ দিকে দূরের যাত্রী ছাড়া কাছের যাত্রীদের বাস তুলতে চাচ্ছে না হেলপাররা। আর বাসে উঠে এক কিলোমিটার গিয়ে নেমে গেলে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। শিখর পরিবহনে পল্টন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত বিআরটিএর চার্ট অনুযায়ী ৫ টাকা ভাড়ার কথা বলা হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এখানে বেশি ভাড়া দিতে না চাইলে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে জিগাতলা ‘রাজাসিটি’ বাসে করে এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে জিগাতলা এসেছি। ভাড়া দিতে হয়েছে ২০ টাকা। আসলে দেশে অনেক নিয়ম হয়। কিন্তু কেউ নিয়ম মানে না।
রোববারের মতো সোমবারও বাসে উঠতে নারীরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। পরিবহন কম থাকায় পুরুষদের সঙ্গে এক প্রকার যুদ্ধ করেই বাসে উঠতে হচ্ছে নারীদের। ফলে অধিকাংশ নারীই গাড়িতে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আবার নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে পুরুষ যাত্রী বসানো হচ্ছে।
এদিকে আজও পরিবহনে যাত্রী গাদাগাদি না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ছে না বাসগুলো। সব জায়গা পূর্ণ হওয়ার পরই ছাড়া হচ্ছে বাস। এ ছাড়া প্রত্যেক জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানোর জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।