বৃহস্পতিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০১৭ ইং ৭ই বৈশাখ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ভূয়া এনজিও পল্লীভিশন গ্রাহকদের দেড়কোটি  টাকা নিয়ে উধাও !

AmaderBrahmanbaria.COM
এপ্রিল ৯, ২০১৭

ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পল্লীভিশন নামে প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের সঞ্চয় ও চাকুরী দেয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকার উপর নিয়ে সম্প্রতি উধাও হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ১৫ শত গ্রাহকের জনপ্রতি ৩ হাজার ৬ শত টাকা করে মোট ৮৯ লক্ষ টাকা ও সঞ্চয়ের নামে আরো ৬০ লাখ টাকাসহ মোট প্রায় দেড় দেড়কােটি টাকা নিয়ে রাতের আধারে অফিস বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে গেছে এনজিও টির কর্তা ব্যক্তিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বাঞ্ছারামপুর উপজেলার  দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের জাকারিয়া নামে এক ব্যক্তি এই ভূয়া প্রতিষ্ঠানটির মূলহোতা।জাকারিয়ার সাথে পার্টনার ছিলো বাঞ্ছারামপুর সদর ইউপির সোনিয়া (দশদোনা গ্রামের) , মনিয়া( দশদোনা) লাকী (ছবুরকান্দি) এবং খোষকান্দি গ্রামের রহিমা বেগম ।
রহিমা বেগম জানান,আমি সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত থেকে আমার অধীন সদস্যদের প্রায় ৪ লাখ টাকা পল্লীভিশনের স্যার-ম্যাডামদের হাতে তুলে দিয়ে ফেসে যাই।আমার সাথে ও প্রতারণা করা হয়েছে। এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি ১৫ শত সাধারণ  মানুষের তিল-তিল করে কষ্টের টাকা ভবিষ্যৎ সঞ্চয় আর্তস্বাদ করেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে,চক্রটিকে এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কসবায় একই জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় পুলিশ আটক করেছিলো।কিন্তু,জামিনে এসে ফের তাদের এনজিও ব্যবসা শুরু করে।
জানা গেছে, জাকারিয়া-সোনিয়া  উপজেলার সবাই চিনেন। কিন্তু তারা অতি প্রভাবশালী বিধায় সাধারন গ্রাহকরা তাদের কাছে গিয়ে টাকা আদায় করতে পারবে না জেনইে,এমন প্রতারনার কাজটি করেছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।তবে,সঞ্চিত টাকা ফেরতের দাবী করে আহাজারী করছেন গ্রামের সাধারণ মানুষগুলো।তাদের দাবী প্রশাসন চাইলে আমাদের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আর্জি দেয়া হয়েছে।