মেসিদের জয়ের দুই ঘণ্টা পর শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার রিয়ালের
স্পোর্টস ডেস্ক :রিয়াল মাদ্রিদ আর বার্সালোনা মানেই টান টান উত্তেজনা। এই উত্তেজনা শুধু মাঠেই নয়, শীর্ষ স্থানকে কেন্দ্র করেও। আগের ম্যাচে সেভিয়াকে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে গিয়েছিল বার্সেলোনা। আলভারো মোরাতার দারুণ নৈপুণ্যে লেগানেসের মাঠে জিতে দুই ঘণ্টার ব্যবধানেই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ের পর ২৯ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৭১। এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬৯।
গতকাল বুধবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। মোরাতার জোড়া ও হামেস রদ্রিগেসের এক গোলে শুরুতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায় দলটি। তবে দ্রুত দুই গোল শোধ করে লড়াই জমিয়ে তোলে লেগানেসে। শেষ পর্যন্ত শীর্ষস্থানধারীদের রুখতে পারেনি তারা।
ব্যস্ত সূচির কারণে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেল ও টনি ক্রুসকের মত মূল তারকারা না থাকলেও আট মিনিটের মধ্যে স্কোরলাইন ৩-০ করে সহজ জয়ের সম্ভাবনা জাগায় রিয়াল। তবে পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকের দলটিও কম যায়নি; দুই মিনিট ব্যবধানে তারাও দুটি গোল করে লড়াই জমিয়ে তোলে।
পঞ্চদশ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে ছুটে দুজনের বাধা এড়িয়ে ছয় গজ বক্সে পাস দেন মার্কো আসেনসিও। ফাঁকায় পাওয়া বল জালে পাঠাতে রদ্রিগেসের একটা টোকারই দরকার ছিল।
তিন মিনিট পর নাচো ফের্নান্দেসের হেড দুরূহ কোণে পেয়ে ফিরতি হেডে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান মোরাতা। আর ২৩তম মিনিটে মাতেও কোভাসিচের দারুণ পাস ধরে ঘিরে থাকা ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে কোনাকুনি উঁচু শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্পেনের এই স্ট্রাইকার।
৩২তম মিনিটে বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন দিয়েগো রিকো। মাঝপথে বল সের্হিও রামোসের গায়ে লাগার পর ছয় গজ বক্সে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে জালে ঠেলে দেন ব্রাজিলের মিডফিল্ডার গাব্রিয়েল।
আর ৩৪তম মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল অন্যের মাথা ছুঁইয়ে গোলমুখে ফাঁকায় পেয়ে যান লুসিয়ানো। আলতো করে ঠেলে দেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। ৪৮তম মিনিটে বাঁ-দিক থেকে রদ্রিগেসের ফ্রি কিকে মোরাতার ফ্লিক মার্তিন মান্তোভানির গায়ে লেগে জালে জড়ায়।
৮৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা লুকাস ভাসকেস দারুণ নৈপুণ্যে দুজনকে কাটিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান। কিন্তু তার শটটি পা বাড়িয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।