২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধই থাকছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৮টি ওষুধ কোম্পানির স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া রুলের ওপর শুনানি করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন কর্মকর্তাসহ পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওষুধের মান যথাযথ হচ্ছে কি না সে বিষয়ে মনিটরিং করে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ২৮টি কোম্পানির স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন তিন দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ওই ২৮ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যানসার প্রতিরোধক ও হরমোন-জাতীয় ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ‘কেন বেআইনি হবে না’এবং এসব কোম্পানিকে ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ আট বিবাদীকে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল সেদিন।
২৮টি কোম্পানি হলো- প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সীমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, হোয়াইট হর্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মমতাজ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, অ্যামিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, অ্যাজটেক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল টেকনো ফার্মা লিমিটেড, বেনহাম ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডিসেন্ট ফার্মা লিমিটেড, ডা. টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্রিনল্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনোভা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ম্যাক্স ড্রাগস লিমিটেড, ম্যাডিমেট ল্যাবোরেটরিজ লিমিটেড, মডার্ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মিসটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, অর্গানিক হেলথকেয়ার লিমিটেড, ওয়েস্টার ফার্মা লিমিটেড, ইউনিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইউনাইটেড ক্যামিকেলস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এফএনএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ইউনিট-১, ইউনিট-২ ও ইউনিট-৩।