চলে গেলেন ‘রক অ্যান্ড রোল’ কিংবদন্তি চাক বেরি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সংগীত জগতে ‘রক অ্যান্ড রোল’ ধরানার কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব চাক বেরি যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন। স্থানীয় পুলিশ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
সেইন্ট চার্লস কাউন্টির পুলিশ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তার কোনও সাড়া না পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন পুলিশে খবর দেন। শনিবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে তিনি মারা যান। বহু বছর ধরে তিনি ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তবে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
সুরকার, গীতিকার, গিটার বাদক ও গায়ক চার্লস এডওয়ার্ড অ্যান্ডার্সন বেরি ওরফে চাক বেরির জন্ম ১৯২৬ সালের ১৮ অক্টোবর আমেরিকার মিসৌরি রাজ্যের সেইন্ট লুইসে। স্কুলে পড়ার সময়ই সংগীতের ওপর দীক্ষা নেন তিনি।
১৯৫২ সালে সেইন্ট লুইজে “হাফ’স গার্ডেন” নামে একটি ক্লাবে তিনি প্রথম কনসার্ট করেন। এর পর থেকেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। অসংখ্য টেলিভিশন শোর মধ্য দিয়ে তিনি এক অসাধারণ সাফল্য লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে বের হয় তার অ্যালবাম ‘মেবেলিন’। যার জন্য আসে আন্তর্জাতিক খ্যাতি।
পঞ্চাশের দশকে চাক বেরির অসাধারণ সংগীত পরিবেশনা, শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ শ্রোতাদের বিভাজনকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। রক সংগীতের আদর্শ হয়ে ওঠেন তিনি। সংগীত জগতের একাধিক প্রজন্মের বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী গেয়েছেন তার গান। চাক বেরির সংগীত দিয়েই ‘দ্য রোলিং স্টোনস’-এর যাত্রা শুরু। বিটেলস এর জন লেনন একবার বলেছিলেন ‘চাক বেরি না থাকলে হয়ত আমাদের সংগীত জীবন শুরুই হতো না।’
চাক বেরিকে তার কাজের জন্য ১৯৮৪ সালে আজীবন সম্মাননা হিসেবে গ্র্যামি পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে তার নাম যুক্ত হয় ‘রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেইম’-এ। ২০০৮ সালে জার্মানিতে সারা জীবনের সংগীত কর্মের জন্য ‘গোল্ডেন ক্যামেরা’ পুরস্কারে ভূষিত করা হন তিনি।
সত্তর বছর ধরে সংগীতে অবদান রাখা এই কিংবদন্তি ‘রোল ওভার বিথোভেন’, বা ‘জনি বি. গুড’-এর মতো ক্ল্যাসিক উপহার দিয়েছেন। যার জন্য তার কথা বহু বছর ধরে স্মরণ করা হবে।