মন্ত্রী বললেন, এসো সেলফি তুলি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ির ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ছোট্ট শিশু সৈয়দা ইশরাত জাকিয়া ও তাঁর চাচাতো বোন তাসনিম বিনতে। দুই বোনকে কুঠিবাড়ি ঘোরাতে নিয়ে এসেছেন তাসনিমের বাবা সৈয়দ আবদুর রশীদ।
এমন সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা কুঠিবাড়িতে প্রবেশ করছিলেন।
ইশরাতের হাতে মুঠোফোন দেখে সংস্কৃতিমন্ত্রী বললেন, এসো সেলফি তুলি। এমন প্রস্তাবে প্রথমে একটু চমকে যায় ইশরাত। হাসিমুখে সবার সামনে দাঁড়িয়ে মোবাইলে সেলফি তুলল ইশরাত। ভারতীয় হাইকমিশনারসহ সবাই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল।
সেলফি তোলার পর মন্ত্রীসহ অন্যরা কুঠিবাড়ির ভেতরে কক্ষ পরিদর্শনে চলে যান। এ সময় কথা হয় ইশরাতের সঙ্গে। ইশরাতের দাদাবাড়ি শিলাইদহের পাশেই গোপালপুর গ্রামে। সে ঢাকাতে থাকে। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। চাচাতো ছোট বোনটাও খুব ছোট।
তুমি মন্ত্রীকে চেনো?—এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাতের সোজা উত্তর, ‘হ্যাঁ, উনি তো বাকের ভাই। টিভিতে নাটকে দেখেছি। উনি একটা নাটকে চোরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। ওই নাটকে উনার চোখ কাঁটা দিয়ে তোলার কথা ছিল। মন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলে খুবই ভালো লাগল। বাড়িতে গিয়ে বাবার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেব।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির সম্প্রসারণ উন্নয়নকাজের জন্য অর্থনৈতিক চুক্তি সম্পন্ন হয়। ভারত এ কাজে অনুদান দিচ্ছে। এ এ জন্য সংস্কৃতিমন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারা শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে যান।