শনিবার, ১১ই মার্চ, ২০১৭ ইং ২৭শে ফাল্গুন, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞাকে আরো ৪ রাজ্যের চ্যালেঞ্জ

AmaderBrahmanbaria.COM
মার্চ ১০, ২০১৭

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করা দ্বিতীয় দফার নির্বাহী আদেশও আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। নতুন এ আদেশের বিরুদ্ধে হাওয়াই মামলা করার একদিন পরই ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস ও ওরেগন অঙ্গরাজ্য মামলা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ট্রাম্পের প্রথম দফায় নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে যে আইনি লড়াই হয়েছিল তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল ওয়াশিংটন এবং ওই মামলায় জয়ও পেয়েছিল তারা। একজন ফেডারেল জজের নির্দেশে ওই নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায়।

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা নির্বাহী আদেশ কতটা যুক্তিসম্পন্ন তাও চ্যালেঞ্জ করছে ওয়াশিংটন। নতুন এ নির্বাহী আদেশকে ‘সংবিধানপরিপন্থী’ বর্ণনা করে প্রদেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল বব ফার্গুসন বিচারকের প্রতি আহ্বান জানান যেন এই আদেশটিও যেন স্থগিত করা হয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, দ্বিতীয় দফার আদেশে ইরাককে বাদ দেয়া হয়েছে। বাকি ছয়টি দেশ হলো ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, সুদান, লিবিয়া এবং সোমলিয়া।

এছাড়া নতুন আদেশে বলা হয়, সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি বন্ধ রাখা হবে। নতুন আদেশে শরণার্থীদের ক্ষেত্রে ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন এ আদেশটি আগামী ১৬ মার্চ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।

কিন্তু এ নতুন নিষেধাজ্ঞাও আইনি বাধার মুখে পড়ছে। প্রথমেই নতুন আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। এরপর নিউইয়র্ক এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করে বলে, এটি আসলে মুসলিমদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে ওয়াশিংটন জানায়, এ ধরনের আদেশ রাজ্যের জন্য ক্ষতিকর। এরপর ম্যাসাচুসেটস, মিনেসোটা ও ওরেগন অঙ্গরাজ্যও নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করে এটি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে ট্রাম্পের প্রশাসনের যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।

এদিকে অনেক মার্কিনিও ট্রাম্পের এই আদেশের পক্ষে নিজেদের মতামত দিয়েছেন। একজন বলেন, ‘দেশের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করা প্রয়োজন, আর প্রত্যেকের নিরাপত্তার জন্যই এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

নিরাপত্তার কারণে ট্রাম্পের এই নতুন নিষেধাজ্ঞা ‘সময়োপোযোগী’ বর্ণনা করে আরেক নাগরিক বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে গত প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে যে পরিস্থিতি চলছে তার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। যে ধরনের ব্যবস্থা আগে কখনো নেয়া হয়নি।’