বিশ্ব চমকে দেয়া আইএসের অস্ত্রভাণ্ডার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জঙ্গি সংগঠন আইএসের সংগ্রহে কী পরিমাণ অস্ত্র রয়েছে তার তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টুয়েন্টিফোর। তারা জানায় আইএসের দখলে আছে সোভিয়েত T-72 ট্যাংক। ইরাকি সেনার হাতে ছিল পূর্বতন সোভিয়েত জমানার এই ট্যাংক। আইএস দমন অভিযানে গিয়ে ১০টি ট্যাংক খুইয়েছে ইরাকের সেনা বাহিনী। তাদের কিছু রয়েছে ইসলামিক স্টেটের দখলে। সোভিয়েত T-72 ট্যাংকের ক্ষমতার জেরে আইএসের গোলন্দাজ বাহিনী বিশেষ শক্তিশালী।
টাইপ 59 আর্টিলারির সমর বিজ্ঞানে এর বিশেষ কদর রয়েছে। এই মারণাস্ত্র ১৯৫০ সালে সোভিয়েত জমানায় তৈরি ও আধুনিকীকরণ হয়েছিল। সম্প্রতি আইএস ইরাকের মাটিতে এর প্রয়োগ করে।
আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র FIM-92 স্টিঙ্গারও রয়েছে আইএস দখলে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজ জানায়, এই ধরনের কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সম্প্রতি উদ্ধার করা হয়েছে আইএস মুক্ত এলাকা থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, বিধ্বংসী এই ক্ষেপণাস্ত্রের বিপুল ভাণ্ডার রয়েছে তাদের দখলে। সিঙ্গার হালকা ও কাঁধে বহনযোগ্য। এর সাহায্যে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়া খুবই সহজ।
ZU-23-2 সের্গি অ্যান্টি এয়ারক্রাফট ক্যাননও সোভিয়েত আমলে তৈরি। ২০১৫ সালে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বিমান ধংসকারী এই কামান রয়েছে আইএসের দখলে। এর সাহায্যে ইরাকে অবস্থানকারী মার্কিন হেলিকপ্টার বাহিনীকে টার্গেট করে আইএস জঙ্গিরা।
সব থেকে ভয়ঙ্কর রাসায়নিক অস্ত্রও রয়েছে আইএসের দখলে। আইএস মজুদ করেছে রাসায়নিক অস্ত্র ভাণ্ডার। সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, কুর্দিশ সেনার বিরুদ্ধে লাগাতার রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগ করেছে আইএস। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ সংলগ্ন রাসায়নিক অস্ত্র কেন্দ্রের দখল নিয়েছিল আইএস। সেটি দখল করেই প্রবল ক্ষমতাধর হয়ে ওঠে তারা।
চিনা ক্ষেপণাস্ত্র HJ-8 রয়েছে আইএস দখলে। ১৯৮০ দশকে চীন সরকার এই ক্ষেপনাস্ত্রের শক্তি বাড়িয়েছিল। হামলার সময় ৯০ শতাংশ সফলতা দেয় এই চীনা ক্ষেপনাস্ত্র। আইএস এই চীনা ক্ষেপণাস্ত্রকে বিমান ধংসকারী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। SA-7 গ্রেল ক্ষেপণাস্ত্রও কাঁধে বহনযোগ্য।