বৈঠকে সার্চ কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতিকে সহায়তার লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন সার্চ কমিটির প্রধান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বৈঠকে কমিটির ছয় সদস্যও উপস্থিত রয়েছেন।
এ কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশন চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার।
এর আগে গত বুধবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) গঠন করেন। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সার্চ কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শনিবার আমরা প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসব। সেখানে সবার সিদ্ধান্তে একটি ফ্রেম ওয়ার্ক তৈরি করা হবে। এরপর সবাইকে বিষয়টি জানানো হবে। আশা করি এটি নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না।
বৈঠকের ১০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য দুজন ও অন্য চার পদের জন্য আটজনের নাম প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। তাদের মধ্য থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচ কমিশনার নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
২০১২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের গঠিত সার্চ কমিটিও বৈঠকের ১০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দুজনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাদের একজনকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার করেন। গতবার চারটি পদে দুজন করে আটজনের নাম সুপারিশ করা হয়, যাদের মধ্য থেকে অন্য চার কমিশনার নিয়োগ পান।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনরে মেয়াদ শেষ হচ্ছে আসছে ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ। এর মধ্যে নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।
নতুন কমিশনের সদস্যদের খুঁজে বের করতে রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগ সন্তোষ প্রকাশ করলেও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা কমিটি প্রত্যাখ্যান না করলেও এর কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আপত্তি তুলেছে।
শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত নেতাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই কমিটিকে আমি প্রত্যাখ্যান করতে চাই না। তবে নির্বাচন কমিশন গঠনের পর প্রত্যাখ্যানের প্রসঙ্গ আসবে।