গর্ভাবস্থায় মদপান করেন দেশের ২ শতাংশ নারী
অনলাইন ডেস্ক : গর্ভবতী নারীদের মদ্যপান এবং গর্ভের শিশুতে এর প্রভাব বিষয়ে বৈশ্বিক গবেষণা পরিচালনা করেছে কানাডার সেন্টার ফর অ্যাডিকশন অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ। সেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। বলা হয়েছে, গর্ভধারণকালে দেশের ২ শতাংশ নারী মদ বা মদজাতীয় পানীয় পান করেন।
গবেষণায় দেখা যায়, মদের প্রভাবে বিশ্বের প্রতি ১০ হাজারের মধ্যে তিনটি শিশুর জন্ম হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে। গবেষণাপত্রটি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে আরও উঠে এসেছে, বছরে সারা বিশ্বে এক লাখ ১৯ হাজার প্রতিবন্ধী শিশু জন্মায়। বিশ্বে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ মা গর্ভাবস্থায় মদ পান করেন। মদের প্রভাবজনিত প্রতিবন্ধিতাকে চিকিৎসকরা বলছেন ‘ফিটাল অ্যালকোহল সিনড্রম’ বা ‘ফাস’। জন্ম নেওয়া প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে ১৪ দশমিক ৬টি শিশু ‘ফাস’ নিয়ে জন্মায়। গর্ভাবস্থায় মদপান করেন এমন ৬৭ জনের মধ্যে একজন মা এ রকম প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম দেন।
এ গবেষণা প্রবন্ধের সম্পূরক পরিশিষ্টে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্যও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে আনুমানিক ২ দশমিক ১ শতাংশ গর্ভবতী নারী মদপান করেন। আর ১০ হাজারের মধ্যে আনুমানিক ৩ দশমিক ১টি শিশুর জন্ম হচ্ছে ‘ফাস’ লক্ষণ নিয়ে।
গর্ভাবস্থায় প্রসূতি মদপান করলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে গর্ভস্থ শিশুর ওপর। এতে মস্তিষ্ক স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জন্মগত নানা ত্রুটিসহ জন্মের আগে ও পরে শিশুর বৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া মুখ অবয়বে বিকৃতি দেখা দিতে পারে, বোধ-বুদ্ধি-আবেগে ঘাটতি দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। এ পরিস্থিতিতে জন্ম নেওয়া শিশুদের পরিণত বয়সে একই সময়ে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
গবেষণা প্রবন্ধের শেষ বলা হয়েছে, প্রজননক্ষম মায়েদের মদ পানের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। গর্ভধারণের আগে থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বা জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের সময় এসব নারীকে সচেতন করতে হবে।
জঙ্গিবাদ নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
