শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা : আদালতে ধর্ষকের স্বীকারোক্তি
---
বিশেষ প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের তোফা মণি (০৭) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেফতারকৃত যুবক এরশাদ মিয়া (২৮)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন এরশাদ। গ্রেফতারকৃত এরশাদ সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাছাইট গ্রামের আবদুল কাদিরের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফেরিওয়ালা, বিভিন্ন গ্রামে ফেরি করে প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করতেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মঈনুর রহমান বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডটকমকে জানান, ধর্ষণ করে শিশুটিকে হত্যা করার দায় স্বীকার করে এরশাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জবানবন্দিতে আরো জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কাছাইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চলা তাফসির মাহফিলের প্যান্ডেল বাইরে বসে প্রসাধনী সামগ্রী বিক্রি করছিলেন।মাহফিল শেষে তোফা বাড়ি ফেরার পথে এরশাদ তোফাকে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে একটি সবজি খেতের পাশ দিয়ে নিয়ে যান। এ সময় এরশাদ তোফাকে ধর্ষণ করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সবজি ক্ষেতে মরদেহে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার রাতে কাছাইট গ্রামের মাওলানা শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় সমতা কিন্ডার গার্টেনের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী তোফা মণিকে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি বেগুন খেতে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। রাতে অননেক খোজাঁখুজি করে ও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন বুধবার সকালে স্থানীয়রা তোফার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তোফার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওইদিনই এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।