পরিবর্তন আসছে নাগরিকত্ব আইনে
---
ডেস্ক রিপোর্ট: নাগরিকত্ব আইন নামে নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে যার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ আইনে নাগরিকত্ব পাবার ক্ষেত্রে যোগ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন ধারা।
তবে নতুন আইনটি কার্যকর হলে অনেকে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন বলে শঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর আইনজীবীরা বলছেন, আইনটি সংবিধান বিরোধী।
মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হয়ে, দলে দলে বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। ১৯৮২ সালে নতুন নাগরিকত্ব আইন করে যাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে দেয় সে দেশের সরকার। এমন বাস্তবতায় নতুন নাগরিকত্ব আইন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এরইমধ্যে যা অনুমোদন পেয়েছে মন্ত্রিসভায়। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনের কিছু ধারা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, জন্মসূত্রেও কেউ বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারবে না, যদি তার বাবা মা বিদেশি শত্রু হন। কিন্তু বিদেশি শত্রু বলতে আসলে কী বোঝানো হয়েছে তা পরিস্কার নয়। আবার কারো বাবা মা যদি বিদেশি কোনো সামরিক, আধা সামরিক বা অন্য কোন বিশেষ বাহিনীতে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন বা দেশবিরোধী কর্মকান্ডে যুক্ত থাকেন তিনিও নাগরিকত্ব পাবেন না।
ফলে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা সাজাপ্রাপ্তদের সন্তানরা এই আইনের বলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব হারাবেন কি না তা পরিস্কার নয়। আবার দেশবিরোধী কর্মকান্ড বলতে কী বোঝায়, তারও ব্যাখ্যা নেই।
আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে দ্বৈত নাগরিকরা সংসদ সদস্য, রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হওয়াসহ ৫টি অধিকার ভোগ করবেন না। আরও বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইন-দলিল-ডিক্রিতে যাই থাকুক না কেন, নতুন এই নাগরিকত্ব আইন প্রাধান্য পাবে যাকে সংবিধান পরিপন্থি মনে করেন, বিশেষজ্ঞরা।
আইনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী যেকোনো ব্যক্তি বা পুলিশ এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ হলে, সংশ্লিষ্ট আদালত বা থানায় মামলা করতে পারবেন বলেও নাগরিকত্ব আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর এটি কার্যকর হলে বাতিল হয়ে যাবে, ১৯৫১ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আদেশ।
সূত্র: চ্যানেল ২৪ টিভি