নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা কমিটি মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সম্মানিত অতিথিদের খেলাঘরের নির্ধারিত স্কার্প পড়িয়ে শুরু হল সমাপনী অনৃুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরু স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন জেলা খেলাগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন নব বন্ধন খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক বিশ^জিৎ পাল বাবু ও প্রজন্ম খেলাঘর আসরের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিন ভ’ইয়া। সোমবার রাতে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে খেলাঘর ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা কমিটির মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতা হয়েছে তা রক্তের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ৭ ই মার্চের ভাষনে বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম” তিনি মুক্তি এবং স্বাধীনতা দুটোকেই আলাদাভাবে দেখেছেন। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু মুক্তি পাই নি। আমাদের সমাজে যে পরিমান অন্ধকার রয়ে গেছে সে অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের নতুন প্রজš§কে মুক্তিযুদ্ধের চেতানা ও সংস্কৃতিক চেতনায় লালন করতে হবে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন । উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহম্মদ । খেলাঘর জেলা কমিটির সভাপিত ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ এর সভাপতিত্বে ও খেলাঘর জেলা কমিটির সদস্য ও শিশু কন্ঠ সসম্পাদক জুয়েলুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ব্যাক্তিত্ব ও দৈনিক সমতট বার্তা সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারাহ পলাশ। অনুষ্ঠানে সকল বিশেষ অতিথিগণ খেলাঘরের মুক্তিযুদ্ধের এই বিজয় মেলাকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া, তাদের দেশ প্রেমকে জাগ্রত করার একটি ভাল উদ্যোগ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরিশেষে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেএসসি সংবর্ধনা প্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে কেস্ট তুলে দেন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে সমাপ্ত হয় খেলাঘর জেলা কমিটির মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা।